• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বান্ধবীর বাসায় মিললো নিখোঁজ তরুণের লাশ

প্রকাশ:  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি

একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাজমুল আলম সেজান (২১) রাজধানীর কালাচাঁদপুরের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন সোমবার বিকেলে। এরপর আর বাসায় ফিরেননি। তার হাতের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাতে তারা জানতে পারেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেজানের লাশ পড়ে আছে।

ভাটারা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুই নারী তাদের নুরের চালার বাসা থেকে সেজানকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই দুইজনের একজন নিজেকে সেজানের বান্ধবী, অপরজন বান্ধবীর মা।

বান্ধবী মৌ ও তার মা নুরুন্নাহারের দাবি, সেজান তাদের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করা ওঠেছে।

সেজানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুরে। তবে সে বাবা-মায়ের সঙ্গে গুলশানের কলাচাঁদপুরে থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড় ছিল।

সেজানের বান্ধবী মৌ ইসলাম পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তারা দুজন একই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এবং তারা ভালো বন্ধু। মঙ্গলবার দুপুরে সেজান তাদের বাসায় আসে। সে তার পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করে। দুপুরে খাওয়ার পর তিনি নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে যান। তার মা বাইরে যান। সন্ধ্যার আগে মা বাসায় ফিরে কলিং বেল দিলে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ড্রয়িং রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে দুইটি গামছায় গলায় ফাঁস দিয়ে সেজান ঝুলছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় সেজানকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বান্ধবীর মা নুরুন্নাহার বলেন, সেজান ও আমার মেয়ে মৌ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইভেন্ট করতো। সেজান বিকেলের দিকে আমাদের বাসায় আসে। একপর্যায়ে ড্রইংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। ওই সময় আমার মেয়ে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের কথা বিভিন্ন সময় সে আমাদের বলতো। হয়তো ওই ঝগড়াঝাটির কারণেই আত্মহত্যা করেছে।

খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সেজানের বাবা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম। তিনি বলেন, সোমবার তার ছেলে বাসা থেকে বের হয়। রাতে আর ফেরেনি। এরপর তারা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। হাসপাতাল থেকে পুলিশের ফোন পেয়ে এসে দেখি ছেলের লাশ। তবে আমি নিশ্চিত, আমার ছেলে ফাঁস দিতে পারে না। তাকে বুকে চাপ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত‍্যা মামলা দায়ের করব।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।ঘটনাটি ভাটারা থানাকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করবেন।

পূর্বপশ্চিম- এনই

বান্ধবী,নূরের চালা,ভাটারা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close