• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দিনভর তীব্র যানজট আর গরমে ভোগান্তি চরমে

প্রকাশ:  ১৫ মার্চ ২০২২, ১৯:৫৯ | আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ২০:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর সড়কগুলোতে সকাল গড়িয়ে বিকাল হলেও কমেনি যানবাহনের চাপ। সারাদিন ছিলো প্রচণ্ড যানজট। তার মধ্যে মাথার উপর সূর্যের চোখ রাঙানি। তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থেকে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট শুরু হয়। দিনের আলো কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে শুরু করে।

এদিন সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ি, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, সাতরাস্তা, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রামপুরা, বাড্ডা, বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ ছিলো। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। বাসে বসে থেকে থেকে ত্যাক্ত হয়ে অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে হাঁটা শুরু করেছেন।

এক বেসরকারী কর্মকর্তা বলেন, ডেমরা থেকে পল্টন যাচ্ছিলাম। কিন্তু যাত্রাবাড়ি আসতেই দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। যেখানে মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগার কথা। এরপর গুলিস্তানে পৌঁছে বাস থেকে নেমে হেঁটেই পল্টন চলে যাচ্ছি। তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকা খুবই বিরক্তির। জ্যামজটের কারণে প্রায়ই সময় মতো অফিসে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অনেক সময় নিয়ে বের হয়েও অফিসে ঢুকতে দেড়ি হয়ে যায়।

ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের দাবি, যানজটের মূল কারণ তিনটি। প্রথমত, নগরজুড়ে উন্নয়ন প্রকল্পের খোঁড়াখুঁড়ি। দ্বিতীয়ত, দুই বছর পর স্কুল-কলেজসহ খুলেছে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। তৃতীয়ত, আগের তুলনায় বেড়েছে যানবাহন, বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। যা যানজটের তীব্রতা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এসব কারণেই রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহাখালী পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা ও বিজয় সরণির দিকে কোনো যানবাহন ছাড়তে পারছি না। কারণ ওই দিকে গাড়িগুলো ঠিকমত টানা হচ্ছে না। রমনা, মগবাজার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আমাদের এখানে যানবাহনের জটলা তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একই অবস্থা। তবে দুপুরে কিছুটা চাপ কম ছিল।


পূর্বপশ্চিম/এসকে

যানজট,রাজধানী,গরম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close