• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ওয়াসার এমডির স্বীকারোক্তি, আমার বাসার পানিতেও গন্ধ

প্রকাশ:  ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪:২৪
অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে পানিতে গন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে। এ সময় তিনি নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম হলে ‘নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক ‘ডুরা সংলাপে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওয়াসার এমডি বলেন, আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝেমধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই পানিতে গন্ধ আছে।

ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকায় পানির মোট চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না।

তাকসিম এ খান বলেন, আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে, যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করিয়ে সেগুলোতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে। এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।

ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওয়াসার এমডি বলেন, ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ। এতগুলো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়।

পানির জন্য আগের মতো হাহাকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াসা যেই পরিমাণ পানি উৎপাদন করে, সেই পরিমাণ পানি গ্রাহকের কাছে যায়। আমাদের পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ সিস্টেম লস আছে, যা খুবই নগণ্য। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমাদের চাহিদার চাইতে বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। কাজেই ঢাকা শহরে পানির হাহাকার বা অভাব এখন নেই। আমরা সবাইকে পানি দিতে পারছি। এখন ২৪ ঘণ্টা পানি আছে। দিন শেষে আমাদের কিছু প্যাকেট লস হয়।

তিনি বলেন, কাউকে পানির আওতার বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমরা বস্তিবাসীদের পানির অধিকার নিশ্চিত করেছি।

ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার কারিগরি পরিচালক শহীদ উদ্দিন, সচিব শারমিনসহ ডুরার নেতারা।

পূর্বপশ্চিম/এনএন

ওয়াসা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close