• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে

প্রকাশ:  ১৪ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক এসো এসো’ - রবীন্দ্রনাথের চিরায়ত বৈশাখী গান দিয়ে দুই বছর বিরতির পর আবারও প্রাণের উচ্ছাসে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা বরণ করে নিয়েছে বাংলা নতুন বঙ্গাব্দ । স্বাগতম ১৪২৯ সাল।

অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব আজ পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে।নতুনের রঙে সব বিভেদ ভুলে নতুন বছরকে জাতি বরণ করে নিচ্ছে আজ। নগরে কিংবা গ্রামে সর্বত্রই রয়েছে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দিনব্যাপী নানা উৎসব-আয়োজ। সূর্যের হাসি ছড়িয়ে পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জেগেছে বাঙালি জাতি।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোনো আয়োজন ছিল না দেশে। করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় বৃহস্পতিবার প্রত্যুষে শুরু হয় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন, আর বেলা বাড়ার সঙ্গে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে বরণ করা হচ্ছে বাংলা বছরের প্রথম দিন। বাংলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান নানা আনুষ্ঠানিকতায় এবারের নববর্ষ উদযাপন করছে।

বাংলা বছরের প্রথম দিবস উদযাপনের সবচেয়ে বড় পরিচয়ই হলো অসাম্প্রদায়িকতা। বিশ্বজুড়ে এমন লোকায়ত এবং জনমানুষ সম্পৃক্ত ক্যালেন্ডার খুব কম আছে বলেই বাংলা নতুন বছর বাঙালিকে শেকড় চেনায়। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নববর্ষ বিশেষ উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এ উৎসব পালন করছে।

পূর্বপশ্চিম-এনই

পহেলা বৈশাখ,বাংলা নববর্ষ,বর্ষবরণ,ছায়ানট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close