গভর্নরের পদত্যাগ দাবি ‘পিপলস’ গ্রাহকদের
জনগণের অর্থের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির আমানতকারীরা।
রোববার (২২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং পরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় ‘পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে আমানতকারীগণদের কাউন্সিল’।
সম্পর্কিত খবর
অর্থ পাচারের অভিযোগের মুখে ভারতে পালিয়ে গ্রেপ্তার পি কে হালদার নামে-বেনামে পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার কিনে কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। পরে কোম্পানির অর্থ সরান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসকে ১৯৯৭ সালে লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈধ কোম্পানি দেখে তারা সেখানে আমানত রাখেন।
২০১৪ সালে তদন্ত করে পিপলস লিজিংয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য জানতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তদন্তে পরিচালনা বোর্ডের অনেক সদস্যের অনিয়ম পাওয়া যায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়ে পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আমানতকারী আতিকুর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পিপলস লিজিংয়ে সার্বক্ষণিক তদারকির দায়িত্বে ছিল। তারা থাকতেও পিপিলস লিজিংয়ে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ও অসৎ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির দায় আমানতকারীদের নিতে হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আর্থিক কেলেঙ্কারির পর ফারমার্স ব্যাংক পুনর্গঠন করে পদ্মা ব্যাংক নামকরণ করা হয়। আন্দোলনকারীরা চান, সরকার এখন পিপলস লিজিংয়ের নাম বদলে নতুন নাম দিক। পিপলস লিজিংয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল যোগান দিয়ে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।
আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর ২০১৬ সালে গভর্নরের দায়িত্বে আসা ফজলে কবিরের দায়িত্বকালেই পিপলস লিজিং ‘ডুবতে বসেছে’ বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন একাধিক আমানতকারী।
পূর্বপশ্চিম- এনই