• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৮৫ হাজার ঘরবাড়ি

প্রকাশ:  ০৩ জুলাই ২০২২, ১২:১১
সিলেট প্রতিনিধি

এবারের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মানুষের বসতবাড়ির। এতে শ্রমজীবী, দরিদ্র মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বন্যার পানি কমলেও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনও লাখ লাখ মানুষ নিজের ভিটায় ফিরতে পারছেন না।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার। শনিবার (০২ জুলাই) পর্যন্ত ৪১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন ৩৫ হাজার ৬৮৫ জন বন্যার্ত। বাকিরা ফিরে গেছেন বাড়িতে। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরে গিয়েও তাদের আশ্রয় মিলছে না। বেশিরভাগ মানুষের বাড়িঘর হয়তো পানিতে ভেসে গেছে, নতুবা বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। যাদের কাঁচা ঘর এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোর অবস্থাও নড়বড়ে। ঝড়-তুফান হলেই সেগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবুর রহমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা–সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছেন। তবে বন্যা পুরোপুরি কমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, সিলেট সিটি করপোরেশন ব্যতীত জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বা অনুদান প্রদানের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

এছাড়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭টি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪১টির। সুনামগঞ্জে অকাল বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে যখন বানভাসি মানুষ দিশেহারা তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনরায় নির্মাণের জন্য ৫ হাজার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত বুধবার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা–সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছেন।

টাকার অঙ্কে ঘরবাড়ির ক্ষতি কত—এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে আগামী সপ্তাহে আমরা বরাদ্দ পাব এবং ঘরবাড়ি সংস্কারে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরকারি সহায়তা দেওয়া শুরু করব।

স্মরণকালের এবারের ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। তারা যাতে পুনরায় ঘর বানিয়ে বসবাস করতে পারেন সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।

পূর্বপশ্চিম- এনই

বন্যা,সিলেট,সুনামগঞ্জ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close