• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দায়িত্ব নিলেন নতুন গভর্নর

প্রকাশ:  ১২ জুলাই ২০২২, ১২:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১২তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আবদুর রউফ তালুকদার। ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টায় তিনি নতুন এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবিরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রউফ।

এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে বরণ করে নেন। তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিসিএস ৮৫ ব্যাচের আব্দুর রউফ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সিনিয়র সচিব হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়। করোনাকালীন দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে তিনি অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশংসনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনার দুই বছরে অর্থ বিভাগ পরিচালনার ক্ষেত্রে তার কাজ ছিল এক কথায় ডায়নামিক। অনেকটা তার নেতৃত্বেই চলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, রউফ তালুকদার দীর্ঘ ১৮ বছর অর্থ বিভাগে বিভিন্ন পদমর্যাদায় কাজ করেছেন। এছাড়াও শিল্প, খাদ্য ও তথ্য মন্ত্রণালয়েও কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এক সময় তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (কমার্শিয়াল) হিসেবে কাজ করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্কারপ্রক্রিয়ায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সংস্কার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অবসরভোগী সরকারি চাকুরেদের ইএফটির মাধ্যমে পেনশন প্রদান এবং সঞ্চয়পত্রের অটোমেশনে তার ভূমিকা ছিল অনেক। ২০২১ সালে ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি অ্যাওয়ার্ড’ পান আব্দুর রউফ তালুকদার।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান। একই বছর চর বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান ফজলে কবীর। বিদেশে থাকা ফজলে কবীর দেশে ফিরে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০ মার্চ। যদিও ওই হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৯ মার্চ।

কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩৪ দিন আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। এতে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারে চার বছরের জন্য কাউকে গভর্নর পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা থাকলেও সরকার এ মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে পারে বলে অর্ডারে বলা রয়েছে। ফজলে কবীরের ৬৫ বছর বয়স শেষ হয় ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তার আগেই মে মাস থেকে শুরু হয় গভর্নর পদের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধনের কাজ। পরবর্তীতে অর্ডার সংশোধন করে গভর্নরের চাকরির মেয়াদ ৬৭ বছর পর্যন্ত করা হয়।

পূর্বপশ্চিম/ম

গভর্নর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close