গার্ডার দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া হৃদয় ও রিয়ার হাহাকার
হৃদয়ের সঙ্গে রিয়া মনির বিয়ে হয় গত শনিবার। সোমবার (১৫ আগস্ট) ছিল তাদের বৌভাত। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে রিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হৃদয় ও তার পরিবারের সদস্যরা। ছেলে হৃদয়ের বাবা রুবেল গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এতে ৫ জন নিহত ও ১ জন আহত হন। তবে এ ঘটনায় বেঁচে ফিরেছেন ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি। তারা হলেন বর হৃদয় (২৬) ও কনে রিয়া মনি (২১)।
দুর্ঘটনার পর থেকে তারা উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) তাদের স্বজনদের লাশ হস্তান্তরের কথা থাকলে হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন তারা। বাবা মাকে শেষ দেখা দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি।
হৃদয় বলেন, সরকার কোথায় প্রশাসন কোথায়? এত ব্যস্ততম একটা রাস্তায় এভাবে তারা কাজ করছে কোন নিরাপত্তা নাই। আজকে আমার গাড়ির উপর পড়েছে, অন্যকারও গাড়ির উপরেও পড়তে পারতো, এই দায়ভার কে নিবে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন, এর যেন সুষ্ঠু বিচার হয়, আমাদের মত এমন যেন আর কারো সাথে নয়া হয়।
তিনি বলেন, মামলার এখনো আমরা কিছু জানি না, আমি অসুস্থ, আমার স্ত্রীও অসুস্থ। আমরা হাসপাতালে ছিলাম, আমারা হাঁটাচলা করতে এখনো সমস্যা হচ্ছে। মামলা আমাদের আত্মীয়স্বজনরা দেখছেন।
তিনি আরও জানান, সোমবার দুর্ঘটনার পরেই আমাদের হসপিটালে ভর্তি করা হয়, আমি পায়ে এবং কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। আমার স্ত্রী আমার থেকে কম ব্যথা পেলেও মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনায় ওর মা মারা গেছে। আমরা এখনো অসুস্থ তবে আমার বাবা আর আমার স্ত্রীর মাকে মর্গ থেকে বের করা হবে সেজন্য এখানে এসেছি।
স্বজনদের দাফনের বিষয়ে হৃদয় বলেন, আমার বাবাকে আমাদের গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে দাফন করা হবে আর আমার শাশুড়িকে আমার মামা শশুররা নিয়ে যাবেন জামালপুর, সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা সাত জনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়।
পূর্বপশ্চিম- এনই