• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রোহিঙ্গা ঢলের ৫ বছর, অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন

প্রকাশ:  ২৫ আগস্ট ২০২২, ১২:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা ঢলের ৫ বছর আজ। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটে আসা প্রায় দশ লাখ মানুষকে মানবতার খাতিরে ঠাঁই দেয় বাংলাদেশ। অথচ এদের নিয়েই এখন বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপাকের মুখোমুখি। একদিকে এদের প্রত্যাবাসনে কোনো আশার আলো নেই, অন্যদিকে ক্যাম্পগুলো ঘিরে বাড়ছে নানা অপরাধ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে সে দেশের সেনাবাহিনী। প্রাণে বাঁচতে বন-পাহাড় ডিঙিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশও মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়। তাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এরপর দুই দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রত্যাবাসন শুরু করতে। কিন্তু ‘ফেরার পরিবেশ তৈরি হয়নি’ অজুহাতে সেই চুক্তির আওতায় গত পাঁচ বছরে একজনকেও ফেরানো যায়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, সংস্থার শীর্ষ প্রতিনিধিরা নিয়মিতই দেখতে আসেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প, অনুধাবন করার চেষ্টা করেন উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুর্বিষহ জীবন। দেন নানা আশ্বাস। কিন্তু সেই আশ্বাসেই ঘুরপাক খায় দেশহীন এসব মানুষের ঘরে ফেরার স্বপ্ন।

গত তিনবছর ধরে থেমে আছে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আলোচনা। ফলে আশাহীন রোহিঙ্গাদের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ। বিশেষ করে প্রত্যাবাসন চেষ্টাকারী নেতাদের পরিকল্পিত হত্যার ঘটনায় শংঙ্কিত তারা। রোহিঙ্গারা বরাবরই বলে আসছেন, পূর্ণ নাগরিক অধিকার পেলে ফিরতে প্রস্তুত নিজদেশে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।

এদিকে রোহিঙ্গাদের ঘিরে মাদক, খুনাখুনে, অস্ত্রের ঝনঝনানি, বন পাহাড় ধংস এবং স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয়সহ গত পাঁচবছরে ঘনীভূত হয়েছে নানা সংকট। তাতে স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে হতাশা-শংঙ্কা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশন বলছে, দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে কাজ করছে সরকার। এজন্য মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের তালিকা। আর জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, মিয়ানমারে ফেরার পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে সফল হবে না প্রত্যাবাসন।

পূর্বপশ্চিম- এনই

রোহিঙ্গা,রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close