• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর

প্রকাশ:  ৩০ আগস্ট ২০২২, ১৮:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশে গুম এবং হত্যা জিয়াই শুরু করেছিলেন। তিনি ছিলেন বর্ণচোরা মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্র যেখানে স্বীকৃতি দিয়েছে সেই সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে জিয়াউর রহমান ফাঁসি দিয়েছে।

মঙ্গলবার(৩০ আগস্ট) দুপুরে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিচার করার বিধি-বিধান আছে। কিন্তু কোনো নিয়ম জিয়া মানে নাই। নাম একজনের দেখে আরেকজনকে ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগে গুম করা হয়েছে তারপরে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তাদের লাশটা পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই । আজকে স্বজনদের আর্তনাদ শুনতে হয়।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে মরণোত্তর বিচারের নজির আছে। বহু দেশে মরণোত্তর বিচার হয়েছে। সাজা না পেলেও ইতিহাসে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অনেকেই। খুনি জিয়া ও তার সহযোগীদের মরণোত্তর বিচার দাবি হোক। এটা কোনো বেআইনি হবে না। কী ঘটেছে সেটার সত্য উদঘাটন করাও আইনের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয় ও জরুরি। কমিশন গঠন করে এই হত্যার বিচার করতে হবে।

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো একজন হৃদয়হীন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিগত সময়ে যদি কাউকে তৈমুর লঙ, চেঙ্গিস খান, নাদির শাহ উপাধি দিতে হয়, তাহলে খুনি জিয়াকে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ১৯৭৭ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল নেতৃত্বে ছিল খুনি জিয়াউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধা সামরিক সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়ার অবস্থান হয়েছে মীর জাফরের পাশে। যুদ্ধেও তিনি পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছেন।

এ সময় তিনি সংসদ ভবনে জিয়ার কবর থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সামরিক ষড়যন্ত্রে ফাঁসি, কারাদণ্ড এবং চাকুরিচ্যুত হয়েছে এমন সেনাদের নামের তালিকা প্রকাশ, ফাঁসি হয়েছে এমন সেনাদের শহীদ ঘোষণা করা এবং কবরস্থানে নাম সহ স্মৃতিফলক নির্মাণ, তাদের পোষ্যদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয়।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেলারেল হেলাল মোর্শেদ বীর বীক্রম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকসহ ১৯৭৭ সালে গণফাঁসি ও গণগুমের শিকার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সন্তানগণ।

পূর্বপশ্চিম- এনই

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী,জিয়াউর রহমান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close