চা শিল্পকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
চা-শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে এক নতুন আশ্বাস পেয়েছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে চা-শ্রমিকদের জন্য আবাসস্থল গড়ে দেওয়া হবে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চা শ্রমিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পর্কিত খবর
শুরুতে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শিল্পকে কোনোভাবেই ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার চা শ্রমিকদের শিক্ষা-চিকিৎসাসহ অন্যান্য সব সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে সেসব সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি চা শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাগান মালিকদের সাথে অনেক দেন-দরবার করে এই ৫০ টাকা বাড়িয়েছি।
উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ২০ দিন কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফিরেন তারা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।
এরপর ২৭ আগস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাথে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফেরেন।
চা-শ্রমিকরা তাদের সুখ-দুঃখ ও দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার দাবির প্রেক্ষিতে আজ শনিবার এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
মৌলভীবাজারের পাত্রখোলা চা বাগানে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার-আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদসহ প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই