• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

মিয়ানমারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা ও লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমার গতকাল শনিবার লন্ডনে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজ সীমান্তের কাছে সম্প্রতি সশস্ত্র সংঘাতের আঁচ পেলেও মিয়ানমারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে।

বাসস জানায়, মিয়ানমার প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশের ওপর ক্রমবর্ধমান বোঝা সম্পর্কে লেবার পার্টির নেতাকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনা ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে আবারও গভীর শোক জানিয়েছেন। স্যার স্টারমার রানির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন।

বৈঠকে তারা ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া বাণীর জন্য প্রধানমন্ত্রী লেবার পার্টি নেতাকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় দুই নেতা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্র্রভাব, মূলত বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর (গ্লোবাল সাউথ অঞ্চল) ওপর, নিয়ে আলোচনা করেন।

ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে গেছেন। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে তার সঙ্গে দেখা করেন স্টারমার। এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য চমৎকার সম্পর্কে আবদ্ধ এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের কারণে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

স্যার স্ট্রারমার ২০১৬ সালে তার বাংলাদেশ সফর এবং সে সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি যুক্তরাজ্য জুড়ে লেবার পাটি থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লোক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, লেবার পার্টি তরুণ প্রজন্মের নেতাদের সহায়তা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা দানে কাজ করছে, যা আরও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তরুণদের আকৃষ্ট করবে।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা থেকে রক্ষা করতে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণের ওপর ভিন্ন রকম প্রভাব ফেলছে কিনা, তা পর্যালোচনার পরামর্শ দেন।

উভয় পক্ষ চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের কারণে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে মত বিনিময় করে।

লেবার পার্টির নেতা বলেন যে, তারা যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমের বড় খুচরা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সাথে ব্যয় ভাগ করে নেওয়ার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

স্যার স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার প্রশংসা করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে কাজ করার জন্য লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু অংশীদারিত্বের প্রসারের প্রশংসা করেন।

মিয়ানমার,বাংলাদেশ,প্রধানমন্ত্রী,লেবার পার্টি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close