• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘কিছু সদস্যের বিচ্যুত আচরণের জন্য পুলিশের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়’

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০২২, ২১:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণকে নিরপেক্ষভাবে সেবা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথম থানায় আসে। থানার দরজা কখনো বন্ধ হয় না। আমরা থানাকে মানুষের সেবা প্রাপ্তির প্রথম ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আইজিপি। সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাকালে চরম বিপর্যয়ের সময় মানবিক পুলিশিংয়ের উদাহরণ দিয়ে আইজিপি বলেন, তখন পুলিশ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের সেবা দিয়েছে তা জনগণ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ভবিষ্যতেও পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেবার এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

আইজিপি বলেন, জাতির পিতার ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে আমাদের অতীতের ন্যায় অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ এখন ‘রোল মডেল’। জঙ্গিবাদ দমনে আমাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও জোরদার করতে হবে।

আইজিপি বলেন, কিছু পুলিশ সদস্যের বিচ্যুত আচরণের জন্য পুলিশের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা কোনোভাবেই করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ অথবা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।

পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশের নিয়োগ-পদোন্নতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে। এখন যে কোনো সময়ের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত। এটা ধরে রাখতে হবে। সকলে মিলে একযোগে একসঙ্গে কাজ করে বাহিনীর মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের নির্দেশ দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি এবং নিত্যনতুন আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মামলা তদন্তে প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়ানো হবে।

পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কল্যাণের পাশাপাশি শৃঙ্খলাও শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।

আইজিপি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং দায়িত্ব পালনে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

আইজিপি,পুলিশ,জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close