• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

কোনো দলের পক্ষে কাজ না করতে সিইসির নির্দেশ

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে কোনো এক দলের পক্ষে কাজ না করার জন্য প্রশাসন ও পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (০৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএম প্রশ্নেও বিতর্ক রয়েছে। আমরা কেবল বিশ্বাস করি না, প্রমাণ পেয়েছি ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনি সহিংসতা ও কারচুপি নিয়ন্ত্রণ সহজতর। ১৫০ টি আসনে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। তবে প্রয়োজনে সকল আসনে কিংবা ১৫০ এর অধিক আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও সামর্থ্য আমাদের থাকবে। সে লক্ষ্যে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনকেও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য ও প্রস্তুতি রাখতে হবে।

সিইসি বলেন, মনে রাখতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে একই দিনে একই সময়ে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কর্মযজ্ঞটি সহজসাধ্য না হলেও, অসাধ্য নয় এবং সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে সার্থকভাবেই সাধন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুনর্ব্যক্ত করতে চাই প্রতিটি নির্বাচন বিশেষত, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব-সচেতন হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কর্ম ও আচরণে এমন কিছুর প্রতিফলন হবে না যাতে জনগণ ভাবতে পারেন যে আপনারা কোনো একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যে কোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে।

সাবেক এই আইন সচিব মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আরো বলেন, নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কাঙিক্ষত মান ও আদর্শকে সমুন্নত রাখবেন। গণতন্ত্রের প্রয়োগ, চর্চা ও বিকাশে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন। দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগে কঠোর অবস্থানে থাকবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। ফলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উপেক্ষা করা যাবে না। সংসদীয় পদ্ধতির বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নে মতপার্থক্য বা মতের বিভিন্নতা থাকতেই পারে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন নিয়ে সংশয় থাকলেও আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ ও সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা যে কোনো সংকট ও সংশয় নিরসনে সামর্থ্য রাখে। মতৈক্য ও সমঝোতা হবে। সংকট ও সংশয় কেটে যাবে।

বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত আগামী বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

নির্দেশ,সিইসি,দল,কাজী হাবিবুল আউয়াল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close