• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অনলাইনে ৩৩১ জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করলো বিটিআরসি

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৪৪
নিউজ ডেস্ক

অনলাইনে জুয়া সংশ্লিষ্ট ৩৩১টি ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। সোমবার (১০ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, বিটিআরসি’র ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল’ এর নিয়মিত নজরদারির অংশ হিসেবে সম্প্রতি ৩৩১টি জুয়ার সাইট বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তথা সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে অনলাইন জুয়া বা বাজি সংক্রান্ত ১৫০টি গুগল অ্যাপ বন্ধের জন্য রিপোর্ট করা হলে ইতোমধ্যে গুগল কর্তৃপক্ষ প্লে স্টোর থেকে ১৪টি বন্ধ করেছে এবং বাকি অ্যাপ বন্ধ করার জন্য যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

একইসাথে ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট ও গুগল অ্যাপের প্রচার এবং অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ায় এই ধরনের ২৭টি ফেসবুক লিংক এবং ৬৯টি ইউটিউব লিংক বন্ধের জন্য রিপোর্ট করা হলে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৭টি ফেসবুক লিংক ও ১ টি ইউটিউব লিংক বন্ধ করা হয়েছে এবং বাকি লিংকগুলো বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী, খেলার চিপস কিনতে প্রয়োজন পড়ে নগদ অর্থ, ক্রেডিট বা ডেভিড কার্ড। ক্রেডিট বা ডেভিড কার্ড সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়েছে অনলাইন জুয়ার দিকে। কয়েকটি অপরাধীচক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে। মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও অপরাধীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট/ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেইম/জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে এবং এজন্য দেশে-বিদেশে হোস্টকৃত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলে নিবন্ধন করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কার্ড বা অন্য কোনও মাধ্যমে জমা দিয়ে জুয়ায় অংশ নিতে হয়। অনলাইন জুয়াড়িরা বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।

প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেশে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়েবসাইট-অ্যাপের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস খেলাসহ বিভিন্ন লীগ ম্যাচকে ঘিরে প্রতি মুহূর্তে অবৈধ অনলাইন জুয়া বা বাজি খেলা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে প্রকাশ্যে এর হার কমলেও অনলাইনে এই খেলার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং এতে আসক্ত হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। রমরমা এ জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষ এবং তাদের পরিবার।

অনলাইনে জুয়া বা বাজির ওয়েবসাইটে এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং তা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও বিটিআরসি জানায়।

দেশের সকল নাগরিককেও অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত সাইটের ইউআরএল (URL) উল্লেখপূর্বক তা ইমেইল বা লিখিত আকারে বিটিআরসিকে অবহিতকরণের জন্য অনুরোধ করেছে বিটিআরসি।

ওয়েবসাইট,বিটিআরসি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close