ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট ঠেকেছে বনানীতে
ঢাকা-ময়মনসিহ মহাসড়কের যানজট এসে ঠেকেছে বনানীতে। টঙ্গী থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাহপুর, হাউজ বিল্ডিং, বিমানবন্দর সড়ক হয়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছেন নগরবাসী। কেউ কেউ সময়মতো ফ্লাইটও ধরতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর বনানী থেকে গাজীপুরমুখী সড়কের উত্তরাতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নিকুঞ্জ এলাকায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন যানবাহন এক স্থানেই আটকে ছিল। এসময় অনেকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা দেন। তবে উত্তরা থেকে বনানীর দিকে সড়কের অপর লেনে তেমন একটা যানজট নেই।
সম্পর্কিত খবর
সকাল সাড়ে সাতটায় রাজধানী গুলশান থেকে উত্তরার কর্মস্থলের উদ্দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রওনা দেন সানজিদা সানোয়ার। দুই ঘণ্টা পর তিনি কেবল কুড়িল ফ্লাইওভারে এসে পৌঁছান।
মুঠোফোনে সানজিদা বলেন, ‘এ রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। প্রতিদিন কাজে যাওয়া আসার সময় এত ঝামেলা-ঝক্কি পোহাতে ভালো লাগে না। যাতায়াতেই তো দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয়। আমার এক আত্মীয় আজ সকালে ফ্লাইট মিস করেছেন।’
উত্তরামুখী সড়কে যানজটের এ পরিস্থিতির কারণে বিমানবন্দরে সময়মতো অনেকেই পৌঁছাতে পারেন না। অনেকে বিকল্প হিসেবে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে মিরপুর বেড়িবাঁধ, দিয়াবাড়ি হয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। তেমনই একজন মোহাম্মদ সাজিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ৮টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা। এ জন্য আগেভাগে রওনা দিয়েছি। তবে মিরপুর রোডেই ১ ঘণ্টা যানজটে বসে ছিলাম। পরে বিকল্প পথে রওনা দেই। এই রাস্তায় যানজটের অবস্থা বিমানবন্দর সড়কের চেয়ে ভালো।’
এর আগে গত মঙ্গলবারও এ মহাসড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বুধবারও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বুধবার ভোরের অবস্থা ছিল আরও বেশি খারাপ। সেদিন ভোর পাঁচটা থেকেই ময়মনসিংহগামী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট দেখা দেয়। এতে দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ মহাসগকে যাতায়াতকারীদের।