• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে কোনো দল নিবন্ধন পাবে না: ইসি

প্রকাশ:  ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১৮:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নিবন্ধন পেতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে তবে নিবন্ধন পাবে না।

রোববার (৩০অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ইসি বলেন, ‘‘আজকে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। হয়তো কালকে কমিশন সচিবালায় ফাইল তুলবে। এরপর তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তারপর আমাদের কাছে দেবে। আমরা যদি কাগজপত্র দেখে মনে করি, আরো যাচাই করতে হবে তাহলে সেটা করা হবে। আর যদি ১০০ ভাগ শর্ত পূরণ হয় তাহলেই নিবন্ধন পাবে। কোনও একটি শর্তও যদি পূরণ না হয়, তাহলে নিবন্ধন দেয়া হবে না।’’

জামায়াতে ইসলামীর লোকজন বিভিন্ন নামে দল গঠন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি জানান, ‘‘এই বিষয়ে আমাদের কোন পর্যবেক্ষণ নাই। এই ব্যাপারে আমরা অফিসারদের দিয়ে কয়েকটা কমিটি করে দেব। সেখানে আমাদের সংবিধান ও আরপিও-সহ যে সমস্ত বিষয় আছে, তার আলোকে দলগুলো যেসব তথ্য ও ডকুমেন্ট দিয়েছে তা কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে।’’

কবে নাগাদ নিবন্ধন দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা আছে মে মাসে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে’।

‘মে মাসের শেষে যারা নিবন্ধন পাবে তাদের দেয়া হবে, আর যারা পাবে না তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে– কোন শর্ত পূরণ না করার জন্য তাদের নিবন্ধন দেয়া হলো না’ – যোগ করেন ইসি আলমগীর।

এছাড়া তিনি জানান, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে রংপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে পারে। 'সেক্ষেত্রে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই, কোনোভাবে সময় শেষের দিকে করতে চাই না'।

রংপুর সিটি নির্বাচনে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর আরও বলেন, সেটা কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এখনই বলা যাবে না। তবে কমিশনের এগুলো ব্যবহারের একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।

‘‘আমাদের অবস্থান হচ্ছে যতগুলো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে– সেখানে আমরা ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে প্রতিটা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা সভায় তখন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়।’’

জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সিসিটিভি ক্যামেরা নয়, আমাদের রোডম্যাপে বলা আছে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। সম্ভব হলে আমরা সবগুলোতেই সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করব'।

'আমরা মনে করি সিসিটিভি ক্যামেরা হলে অনিয়ম ধরাটা সহজ হবে। বাইরের অনিয়ম সবাই দেখে, কিন্তু ভেতরের অনিয়ম সবাই দেখতে পারে না। এটা অবশ্যই ভালো'।

ইসি আলমগীর উল্লেখ করেন যে, এখন সঠিক অপরাধীকে ধরতে ও নিরপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। 'সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়'।

কোনো দল বা গোষ্ঠী এটা ব্যবহারের বিরোধিতা করলে সেটা মানা হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের যদি আর্থিক, কারিগরী ও ব্যবস্থাপনায় সম্ভব হয়, তাহলে আমরা কারো কথাই শুনব না। একই ব্যাপার ইভিএম এর ক্ষেত্রেও'।

গাইবান্ধায় পরবর্তী নির্বাচন এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, "রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রিপোর্ট এখনো আমাদের হাতে আসে নাই। হাতে আসলে আমরা বসবো। আলোচনা করব, তারপর সিদ্ধান্ত।’

দল,নিবন্ধন,ইসি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close