দয়া করে যুদ্ধ থামান, পৃথিবীকে রক্ষা করুন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে এবারের মূল বক্তব্য থাকবে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান। দয়া করে যুদ্ধটা বন্ধ করুন, একে অপরকে ধ্বংস করার পরিবর্তে সবাই মিলে পৃথিবীটাকে রক্ষা করুন।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুরো পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। দুঃখজনক হলেও সত্য- পৃথিবীর মানুষ, বৈশ্বিক নেতৃত্ব ভূ-মণ্ডলকে রক্ষার পরিবর্তে কে ন্যাটোয় যোগ দেবে, কে দেবে না সেটি নিয়ে ব্যস্ত। মানুষ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ; একে অপরকে ধ্বংস করতে ব্যস্ত। একে অপরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যস্ত। পুরো মানবজাতি একটি মহাদুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো মানবজাতির অস্তিত্বই যে হুমকির মুখে পড়ছে, সেটি নিয়ে মাথাব্যথা খুব কম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার একটি দেশ। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আজ থেকে ১২-১৩ বছর আগে জনপ্রতি প্রতিবছর গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণ ছিলো ০ দশমিক ২ টন। সেটা একটু বেড়ে এখন ০ দশমিক ৬ টন। আর অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোয় জনপ্রতি প্রতিবছর গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণ ইউরোপে ১০ টনের বেশি, আমেরিকায় ১৫ টন বা আরো বেশি এবং দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এখন এর মাত্রা ৪-৫ টনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের ক্ষতিকর ভূমিকা নেই। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের ওপর অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি বলেন, আমাদের সাংবাদিকরা এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। পরিবেশ সচেতনতাটা আমাদের দেশে অনেক দেশের তুলনায় ভালো। এটির পেছনে সাংবাদিকদের অবদান আছে। আমাদের ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে কাজ করছে, তারা এ সম্মেলনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন- ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ উল হক।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম