নতুন গাইডলাইনে কমে আসবে ডেঙ্গু, আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
কর্মক্ষম ব্যক্তিরা এ বছর ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘যারা কাজকর্ম করে, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বিশেষ করে নারীরা। আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়া প্রাণহানির অন্যতম কারণ।’
রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত ডেঙ্গুর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সম্পর্কিত খবর
নতুন গাইডলাইনে ডেঙ্গু কমে আসবে আশা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আগের গাইডলাইনটি নতুন করে সাজানো হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও চিকিৎসা নিয়ে কেউ সমালোচনা করেনি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু চিকিৎসা করে আর নিয়ন্ত্রণের কাজটি করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০১৯ সালে যখন ডেঙ্গু ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছিল। সবাই মিলেই সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছি। তখনো অনেক সমালোচনা হয়েছে। ওই সময়েই চিকিৎসা নিয়ে সমালোচনা ছিল না। এরপর করোনা এল, তখন একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সারা দেশেই এটিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্রটোকল ভালো ভূমিকা রেখেছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছিল না, একটি মাত্র ল্যাব ছিল। বিনা মূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছি। অর্থাৎ যখন যেই ব্যবস্থা বিশ্বে প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটিও করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা, যুদ্ধ—সব মিলিয়ে আমরা বড় একটি ধাক্কা খেয়েছি। এখন আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে শুধু যে আমাদের দেশেই ডেঙ্গু হচ্ছে তা নয়, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এটি দেখা দিয়েছে। সেই সব দেশের তুলনায় আমাদের আক্রান্তের হার কম।’