তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা জরুরি: আইনমন্ত্রী
তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন।
রোববার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়ে- আত্মা’র সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সম্পর্কিত খবর
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অধিকতর সংশোধনের অগ্রগতি এবং এবিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে প্রজ্ঞা ও আত্মার একটি প্রতিনিধি দল রবিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে।
এসময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর উদ্যোগকে ‘সময়োযোগী’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে।’ আইনমন্ত্রী আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস ২০১৭)-এর বরাত দিয়ে বৈঠকে প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করে। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের তুলনায় তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয়, তার পরিমাণ অনেক বেশি। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এলক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বৈঠকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন— ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলক, চ্যানেল এস-এর আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।