‘সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে’

‌‘ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র এবং উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার। ভারতের আসামসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে সেভেন সিস্টারস খ্যাত এ অঞ্চলগুলোতে।’

রোববার (২০ নভেম্বর) ঢাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারির নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরিপোশাক। আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ ভাগ আসে তৈরিপোশাক থেকে। এ শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে, এর মধ্যে ৩০ লাখই নারীকর্মী। আসাম বাংলাদেশের দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়ে তৈরিপোশাক খাতের কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক, সিরামিক, জামদানিসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য ভারতে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির পণ্য ভারতের আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে, ভারতের আসামসহ সেভেন সিস্টারস খ্যাত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য উভয় দেশের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। উভয় দেশের সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আসামের বিধান সভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারির নেতৃত্বে আসাম রাজ্য সরকারের বিধান সভার ৩৩ জন বিধায়কসহ ৬২ সদস্যের প্রতিনিধি দল ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন বাংলাদেশে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম