• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

আ. লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না

প্রকাশ:  ২১ নভেম্বর ২০২২, ১৭:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশকে গড়ে তুলেছে। এ দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা কখনোই আমরা ভুলবো না। তাই আমরা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।

একটানা তিনবার ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি বলেই মানুষের জন্য কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধা একেবারে অবহেলিত হয়ে পড়েছিলো তাদের খুঁজে বের করে সব ধরনের সহযোগিতার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা, মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা, এমনকি তাদের দাফনের ব্যবস্থাও আমরা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমার বাবার ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের সম্মান করা, মর্যাদা দেওয়াই আমাদের কাজ। দল-মত পৃথক থাকতে পারে কিন্তু তাদের অবদান আমি কখনো ছোট করে দেখিনি, অবহেলা করিনি। আমরা আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) অবদান চিরকাল মনে রাখবো। আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দেখে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারে, তাহলে তারা অনুপ্রাণিত হবে এবং জানবে কিভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হয়। এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেখানে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি দখলদারির পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছি। কেউ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে অবহেলার চোখে দেখবে না।

সরকারের টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮-এর নির্বাচনে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম তা করতে পেরেছি। আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছি এবং সেই সময়ই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে ২০৪১-এর বাংলাদেশ কেমন হবে তার প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি এবং তারই ভিত্তিতে আমাদের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে প্রজন্মের পর পর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে জন্য সরকার প্রণীত শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের প্রত্যেক গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বিশ্ববাসী আর অতীতের মতো বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখে না উল্লেখ করে চলমান বিশ্বমন্দা মোকাবেলায় দেশের সকল পতিত জমিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে কভিড-১৯ পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনে উন্নয়নের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। কারণ এর ধাক্কায় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। যেসব জিনিস আমদানি করতে হয় যেমন ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা সেগুলোর দাম যেমন বেড়েছে তেমনি পরিবহন ব্যয়ও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। তারপরও সরকার থেমে নেই।

সরকার এগুলো অতিরিক্ত মূল্যে কিনে দেশের জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

আওয়ামী লীগ,মুক্তিযোদ্ধা,প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,অবদান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close