ঢাকায় ৭ লাখ মানুষ এসেছে কি না খোঁজ চলছে: ডিবিপ্রধান
বিএনপিকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আগামীকাল শনিবার সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় বিএনপির সাত লাখ লোক এসেছে কিনা, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুক্রবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
‘ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় সিম ঢুকেছে সাত লাখ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
সম্পর্কিত খবর
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা তাদের কোনো রিমান্ড চাইনি। বাকি বিষয়টা আদালত বুঝবেন।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠককালে তারা দুটি ভেন্যু চয়েস করেছিলেন। একটি হচ্ছে কমলাপুর স্টেডিয়াম, আরেকটি মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। তারা আজ এসে যেটি আবার আবেদন করলেন, তারা চাইলেন গোলাপবাগ মাঠ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে গোলাপবাগ মাঠেই তাদের অনুমতি দিয়েছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সমাবেশের শর্ত আগেরগুলোই থাকবে। নিরাপত্তায় আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সেখানে রয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশের সমন্বয়ে যেভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা গোলাপবাগ মাঠেও থাকবে। আমাদের টিম অলরেডি কাজ করছে।
‘আমরা তদারকি করছি, যেন এ সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরনের অরাজকতা না হয়। সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে।’
শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
নাশকতার শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। এজন্যই তারা গতকাল এসে কথা বলেছেন, আজও এসেছেন। আজ তারা কাগজ জমা দিয়েছেন, সেখানে তারা চেয়েছেনই গোলাপবাগ মাঠ। আমরা গোলাপবাগ মাঠই দিয়ে দিয়েছি, অতএব আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা মনে করি, তারা একটি সুন্দর সমাবেশ করবে, কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। পুলিশ গোলাপবাগ মাঠসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কাজ করছে।’
হারুন বলেন, ‘আমরা যে সিকিউরিটি প্ল্যান করেছি, মনে করি না কোনো হামলা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ রেখেছি, যেন দুর্বৃত্তায়নের মতো ঘটনা না ঘটে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ ওই এলাকা, বিভিন্ন ছাদে ও আশপাশের মহল্লায় কাজ করছে।’