• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আজ শুভ বড়দিন

প্রকাশ:  ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ রোববার (২৫ ডিসেম্বর)। বছর ঘুরে আবার এলো তাদের সবচেয়ে খুশির সেই দিন। আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজের উপহারে এদিন মেতে উঠবে শিশুরা।

খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এদিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন বলেই তার অনুসারী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানবজাতিকে কল্যাণ ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে যিশুর জন্ম হয়েছে পৃথিবীতে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও আগামীকাল যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করবেন।

এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা মানের হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার।

বড়দিন উপযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।

বড়দিন উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন। এই দিনে খ্রিস্টান সম্প্রদায় সকালে গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেবেন। এছাড়া ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজে সাজসজ্জাসহ বিশেষ খাবারদাবারের আয়োজন হয়। কেকসহ মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন থাকে খাবারের মেন্যুতে। এছাড়াও দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। বড়দিনের আগে শনিবার রাতেও বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আরোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ। গত দুই বছর করোনা মহামারির চোখ রাঙানি থাকায় ভাটা ছিল আয়োজনে। এবার বড়দিন পালনে সেই বাধা কাটিয়ে থাকছে নানা আয়োজন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

শুভ বড়দিন,খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী,ধর্ম,উদযাপন,বাংলাদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close