• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার’

প্রকাশ:  ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সারা দেশের সব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় আজকের এ উন্নয়ন— সেদেশে সরকারের ধারাবাহিকতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সেটিও বর্তমান সরকার টানা কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার কারণেই হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে সরকারের এই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে।’

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু’স ভিশন অন ইন্টড্রাস্ট্রিয়ালাইজেশন ইন বাংলাদেশ: অপারচিউনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর ফোর আইআর অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যন্ত্রকৌশল বিভাগ, আইবি এর চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জি. মো. নূরুল হুদা, প্রেসিডেন্ট, আইবি, সাবেক চেয়ারম্যান (রাজউক), ইঞ্জি. মো. আবদুস সবুর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট, আইবি, ইঞ্জি. মো. নুরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, ইঞ্জি. খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি, ইঞ্জি. এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইবি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. ইঞ্জি: মোহাম্মদ সারওয়ার মোরশেদসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বছরের পর বছর সরকার পরিবর্তন হলে কোনও দিনই পদ্মা সেতু হতো না। সরকার পরিবর্তন হলে আরেক সরকার এসে বলতো— এখানে না হয়ে পদ্মাসেতু হবে আরেক জায়গায়। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে একই সরকার দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় ছিল বলেই হয়েছে৷ দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সেটিও বর্তমান সরকার টানা কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার কারণেই হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে সরকারের এই ধারাবাহিকতা রাখতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেশীয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্পায়নের ধারা জোরদার করে কৃষি ও শিল্প খাতের যুগপৎ মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সংগঠিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বর্তমান সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সরকারি পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন পর্যায়ের কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিচালনা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি, যাকে সহজেই 'চতুর্থ শিল্পবিপ্লব' বা 'ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন' বা 'ফোর আইআর' বা 'ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো'র শুরুর লগ্ন বলা যেতে পারে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নিয়ামক হিসেবে প্রধানত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে ফোর আইআর হচ্ছে ফিজিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেমের মেলবন্ধনের অত্যাধুনিক মেকানিজম, যার মূল ভিত্তি তৃতীয় শিল্পবিপ্লবকালীন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি।’

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরাধিকার, বিশ্ববরেণ্য নেতা ও মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ণের লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকলের বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকৌশলীদের সচেতন থাকতে হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আগামীর সব বড় বড় প্রজেক্ট দেশি প্রকৌশলীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এখন যেমন বিদেশি প্রকৌশলীনির্ভর হতে হচ্ছে, ভবিষ্যতে সে নির্ভরশীলতা থাকবে না।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close