• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দেওয়া হচ্ছে : তাপস

প্রকাশ:  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেল, স্থানান্তরিত হয় নাই। আমি আশা করব, এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি।’

বুধবার ঢাকার মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য ঘর/গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। সেটি হলে পুরান ঢাকার বিপজ্জনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও সেখানে ঢাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। বর্তমানে উড়াল সেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখলমুক্ত করে উড়াল সেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আটটি অংশে (উড়াল সেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই আটটি অংশেই আমরা এখানে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করব।’

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনো ধরনের অবকাঠামো চায়, এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেওয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে আগাচ্ছি। হয়তোবা একটু সময় নেবে। এটা হলে সবাই উপকৃত হবে।’

মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

ওই সময় বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে, ওই এলাকার সব মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল।

‘সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি আদালত রয়েছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। তাদের মাধ্যমেই (যাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে) আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী দেব এবং দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে আমরা জনকল্যাণে সেটার ব্যবহার নিশ্চিত করছি।’

তাপস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close