• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো: পীর মিসবাহ

প্রকাশ:  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আমাদের অর্থিক খাতে সুইস ব্যাংকের ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলছে, সেখানে এক বছরে বেড়েছে ৫৫ শতাংশ অর্থ জমা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাংলাদেশের অর্থ। ২০২১ সালে ছিলো ৮৩৪৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে জমা হয় ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, আমাদের টাকা বিদেশে যায় কানাডায় যায় সেখানে বেগম পাড়া হয়। সেখানে শুধু রাজনীতিবিদদের টাকা পাচার হয় তা নয়, সেখানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা আছেন, তারাও বেগম পাড়া বানায়।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জানান, খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে ৪ লাখ কোটি বলে অনেকে মনে করছেন। মুষ্ঠিমেয় মানুষের হাতে এতো কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। এসব অর্থ আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে আরো কঠোর হতে হবে। দুর্নীতির আখড়া এই সামান্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু বড় বড় প্রকল্পগুলো দিনের পর দিন সময় বাড়িয়ে ব্যয় বেড়েছে, একইসঙ্গে দুর্নীতির সুযোগ ঘটেছে। এটা বন্ধ করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যেতো।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ২০২২ সালে আমাদের দুদকে ১৯ হাজার দুর্নীতির মামলার অভিযোগ হয়েছিলো। কিন্তু দুদক মাত্র ৪ শতাংশ গ্রহণ করেছে। কিন্তু দুদক যাদের অব্যাহতি দিয়েছিলো হাইকোর্ট তাদের তলব করেছে। এটার সুষ্টু তদন্ত হওয়া দরকার। সরকারি প্রকল্পের শুরুতে গলদ থাকে। সরকারি প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি হচ্ছে। প্রায় সব প্রকল্পে মেয়াদ বাড়ানো ও ব্যয় বাড়ানোর ফলে দুর্নীতি অঙ্গাঙ্গি জড়িত। দরিদ্র মানুষের জন্য যে যে ডাটাবেজ তৈরির কথা সেটা চার বছরের প্রকল্প যা সাড়ে ৯ বছরেও শেষ হয়নি। এ প্রকল্পে ৬২৭ কোটি টাকা অপচয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার ২১ মাসের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প শেষ হয় সাড়ে ৭ বছরে।

মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রে করে মাদক ব্যবসা বাড়ছে। রোহিঙ্গারা মাদক আনে কিন্তু তারা বিক্রি করতে পারে না। সেজন্য এদেশের মাদকের গডফাদাররা তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। এমন গডফাদার ১ হাজার ১২২ জনের নাম এসেছে। এ সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে। এসব গডফাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

নতুন করে তালিকা তৈরি করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওবার দাবি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উচ্চ হারে খরচের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য খাতে ৬৯ শতাংশ ব্যয় হয় ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ করতে হয়, যার পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এর জন্য তারা গরিব হয়ে যাচ্ছে। আর সরকারের এতো এতো টাকার ওষুধ কি হচ্ছে, এখানে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারছি না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

দেশ,দুর্নীতি,বন্ধ,পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ,জাতীয় পার্টি,সংসদ সদস্য
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close