বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ বাড়ল
কোরবানি ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য প্যাকেজ মূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনের ভিক্টোরিয়া হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দেড় লাখ টাকা বেশি খরচ বাড়ল। গত বছর কোরবানি ছাড়া বেসরকারিভাবে হজের প্যাকেজ মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন বলেন, সর্বনিম্ন এই প্যাকেজ মূল্যে অধিক খরচের মধ্যে রয়েছে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। মক্কা ও মদীনায় বাড়ি ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা।
বেসরকারি ব্যবস্থায় প্রত্যেক হজযাত্রীকে হজ প্যাকেজের সব টাকা ১৫ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির একাউন্টে বা নগদ দিলে পাকা মানি রিসিট নিয়ে পরিশোধের আহ্বান জানান তিনি।
হাব সভাপতি জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে, তা আরও কমানোর দাবি জানিয়েছে হাব।
তিনি বলেন, কোনো শিডিউল ফ্লাইটে নয়, এয়ারলাইনসগুল ডেডিকেটেড ফ্লাইট ভাড়া নেয়ায় সেভাবেই পরিচালনা না করলে ডেডিকেটেড ইমিগ্রেশন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এম শাহাদাত হোসেন বলেন, এবার কোনো বয়সের সীমা নেই হজযাত্রীদের জন্য। আলাদা করে হজযাত্রীদের যাওয়ার সময় কোরবানির অর্থ নিতে হবে। বর্তমানে হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। অব্যাহত রাখতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার প্যাকেজ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য হজ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল।
তিনি বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর ফি ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরির ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ও অন্যান্য সুবিধা সরকারি প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানান, গত ৯ জানুয়ারি সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।