• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শহীদ মিনার থেকে বইমেলায় মানুষের ঢল

প্রকাশ:  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানুষের ঢল নেমেছে একুশের বইমেলায়। বেলা যতো গড়াচ্ছে দর্শনার্থী ও বইপ্রেমী মানুষের ভিড়ও ততো বাড়ছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বইমেলা ঘুরে বইয়ের প্রতিটি স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই খুলে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েই বইপ্রেমীরা চলে এসেছেন মেলায়। তাই, মাতৃভাষার বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারের রস আস্বাদনে মগ্ন শিশু-কিশোর-প্রবীণদের প্রাণচঞ্চল উপস্থিতিতে দিনের শুরু থেকেই বইমেলা জমে উঠেছে।

আজ বইমেলায় অনেকেই শোকের বার্তাবাহক কালো পোশাকে এসেছেন। পুরুষরা পরেছেন কালো পাঞ্জাবি আর নারীরা এসেছেন কালো শাড়ি পরে। শিশুদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েই বিরাট একটা অংশ বইমেলার দিকে চলে এসেছে। এতে মেলায় বইয়ের বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে।

সহপাঠীদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে বইমেলায় যাচ্ছিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নাদিয়া পারভেজ। তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বইমেলায় তিনবার গেলাম। সঙ্গে বন্ধু-সহপাঠীদেরও নিয়ে যাচ্ছি। সারাদিন মেলায় ঘুরে ঘুরে বই কিনবো। পরিবারের সদস্যদের উপহার দেবো বই।

সাবিনা ইয়াসমিন বইমেলায় এসেছেন রামপুরা থেকে। তিনি বলেন, আমরা তিন ভাইবোন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েই চলে এসেছি বইমেলায়। আজ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই কিনবো।

প্রতিবারের মতো এবারো বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা বসেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলায় ঢুকতে রয়েছে তিনটি ফটক। প্রতি ফটক দিয়ে পাঠকরা লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় ঢুকছেন। বাংলা একাডেমিতে একটি ফটক রয়েছে। সেখানেও লাইন ধরে মেলায় ঢুকছে মানুষ। পুলিশ সদস্যরা সবাইকে তল্লাশি করছেন।

শ্যামপুর থেকে বইমেলায় যান নূর হোসেন। তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সঙ্গে তার স্ত্রীসহ দুই স্কুলপড়ুয়া মেয়ে রয়েছে।

নূর হোসেন বলেন, ব্যস্ততার কারণে এতদিন বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ পাইনি। আজ অফিস ছুটি। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় চলে এলাম। দুপুরে শহীদ মিনারে মানুষের চাপ কমলে সেখানে যাবো। গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবো।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষাপ্রকাশের স্টলের বিক্রয় কর্মী জাফর আলী বলেন, সাধারণত সরকারি ছুটির দিনে মেলায় বই বেচাকেনা হয় বেশি। সেই হিসেবে আজ সকাল থেকে মেলায় পাঠক উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে। বই ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

ঢল,মানুষ,বইমেলা,শহীদ মিনার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close