• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রাজনৈতিক দলগুলোকে সিইসি

নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০২৩, ১৩:১৫ | আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৩:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আপনাদের মধ্যে যদি মত-পার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে র্যালি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ভোটার হবো নিয়ম মেনে ভোট দেবো যোগ্যজনে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চমবারের মতো দেশব্যাপী ভোটার দিবস উদযাপন করছে ইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো-আপনারা যে কোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সহকর্মীরা এরই মধ্যে জানিয়েছেন যে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। সার্বিকভাবে মোটেই কম হয়নি। এটা সঠিক তথ্য নয়। কিছু কিছু ভোটে ভোটার উপস্থিতি কেন কম হয়েছে, আমাদের পক্ষ থেকে কমিশনার মো. আলমগীর এবং আহসান হাবিব খান বলেছেন।

সিইসি বলেন, আমরা যেটা অনুমান করেছি, বাস্তবতার নিরিক্ষে, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে কারণ সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলের ভোট দেখেছেন সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিলো। ইভিএমে হয়েছে।

তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিলো। আমরা আশাকরি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথার্থ হবে সেই আশাবাদ আমি ব্যক্ত করছি। বিভিন্ন কারণেই ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। আবহাওয়াগত কারণ হতে পারে, দুর্যোগের কারণে হতে পারে, শীতের কারণে হতে পারে; বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা এসেছেন কিনা তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে কিনা? তারা ভোট দিতে পেরেয়েছেন কিনা সেটাই বিশেষভাবে পরিধানযোগ্য আমাদের কাছে।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয় তাহলে দলগুলোর দায়িত্বশীল একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, আমরা ভোটটা আয়োজন করবো। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করবো, বক্স সাপ্লাই করবো এবং আমরা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সংস্থাগুলো আছে তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইন-শৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।

আগামী ভোট ১৪ আর ১৮ সালের মতো হবে না, আপনারা কেন এত আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, ওই সমন্ত প্রশ্নে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। ১৮, ১৪ সালে কী হয়েছে সেগুলো আমরা দেখবো না। আমরা সামনে দিকে এগুচ্ছি। আমাদের জন্য আপনাদের শুভ কামনা রাখবেন, যেন আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটা আগামীতে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

সিইসি,রাজনৈতিক,দল,নির্বাচন কমিশন,কাজী হাবিবুল আউয়াল,নির্বাচন কমিশনার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close