• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নিউমার্কেটে সময়ের কণ্ঠস্বরের সাংবাদিককে পুলিশের বেধড়ক মারধর

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৩:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময়ের কণ্ঠস্বরের এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করেছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এসময় সাংবাদিকের মোবাইলে ধারণ করা কিছু ভিডিও ফুটেজও মুছে ফেলেছেন তারা।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের নিচে মারধরের শিকার হন এ সাংবাদিক। ভুক্তভোগী সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রুবেল সময়ের কণ্ঠস্বরের স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

সম্পর্কিত খবর

    জানা যায়, সকালে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যান রবিউল ইসলাম রুবেল। সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের নিচে গিয়ে দেখতে পান দু' তিনজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং ৩-৪ জন ব্যক্তি একটি ক্যাশ বাক্স আঁকড়ে ধরে আগুন লাগা মার্কেট থেকে নিচে নামিয়ে এনেছেন। এসময় কিছু পুলিশ সদস্য নিয়মানুযায়ী ক্যাশ বাক্সটি তাদের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানালে এটি দিতে রাজি হননি বাক্সটি নিয়ে আসা ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে ক্যাশ বাক্স আকড়ে ধরে থাকা ব্যক্তিদের বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। যার ভিডিওচিত্র ধারণ করছিলেন সময়ের কণ্ঠস্বরের সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রুবেল।

    এসময় হঠাৎ এক পুলিশ সদস্য তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে বলে তার দিকে তেড়ে আসেন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে পেছনে নিয়ে যান ওই পুলিশ সদস্য। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন বলে প্রতিবাদ করায় অন্য এক পুলিশ সদস্য এসে ওই সাংবাদিকের কলারে ধরে টেনে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে আরও কয়েকজন এসে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি দেন। যার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

    ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি গলায় আমার প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড ঝুলিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ সংগ্রহ করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ দেখি একটি টাকার বাক্স নিয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং ৩-৪ জন মানুষ (হয়তো নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী হবে) টানাটানি করছিল। এসময় একজন ক্যাশ বাক্সটি আঁকড়ে ধরে ছিল, সে কাউকে দিতে চাচ্ছে না। আমি সেটির ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলাম।

    হামলার শিকার রুবেল আরও বলেন, হঠাৎ মাহমুদুল নামে এক পুলিশ সদস্য তাকে ধাক্কা দেয়ার কথা বলে তেড়ে এসে আমার গায়ে হাত তোলেন। পরবর্তীতে অন্য এক পুলিশ সদস্য এসে আমাকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করেন। এসময় আরও কয়েকজন যোগ দেয় তার সঙ্গে। পরে আমার মোবাইল নিয়ে কিছু ভিডিওও ডিলিট করে ওই পুলিশ সদস্যরা।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ জানান, ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে এসেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যদের আজকের ত্যাগ সারা বাংলাদেশের মানুষ প্রশংসা করেছে। এরমধ্যে দুই একজনের জন্য আমাদের পুরো বাহিনীর এই ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। যারা এমন কাজের সাথে জড়িত ছিল, অবশ্যই ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

    সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রুবেল
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close