• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

‘মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

প্রকাশ:  ২১ জুন ২০২৩, ২২:২৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা মনুষ্য-সৃষ্ট প্রাকৃতিক /পরিবেশগত বিপর্যয়ে স্থায়ী এবং কার্যকর সমাধানে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমে অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে সোমবার (১৯ জুন) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘ত্রান কার্যক্রমে প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সরকারকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে ত্রাণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাস্তবসম্মত পন্থায় আন্ত:সংস্থা স্থায়ী কমিটি জাতিসংঘের (আইএসএসসি)- এর নীতিমালা বাস্তবায়নের তাগিদ ব্যক্ত করেছে ।

হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল ও সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) আয়োজিত এই সেমিনারে উপস্থাপিত মূল নিবন্ধে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিতে “আবশ্যিক করণীয়” বিষয়গুলির বিষদ ব্যাখ্যা এবং পটভুমি তুলে ধরা হয়। বন্যা পরিস্থিতি ও সাইক্লোন বিপর্যয় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাণ কার্য পরিচালনা এই তিনটি পরিস্থিতিতে সংস্থা দুইটি সম্যক ও মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই উপস্থাপন তুলে ধরা হয়।

অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব উপলদ্ধির আলোকে এই সেমিনারে বাংলাদেশ সরকার এবং মানবিক ত্রাণ-পুনর্বাসন ক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থাসমূহ এবং দাতাবর্গের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সেমিনারে বলা হয়, যে কোন মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অন্যতম মূল নির্দেশিকা হিসাবে জাতিসংঘের আইএএসসি- গাইডলাইনকে অনুসরণ করা উচিত, যাতে উপকারভোগী এবং ত্রাণ পরিচালনাকারীদের মধ্যকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মতামতের ভিত্তিতে গোটা পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, নিরূপন, পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিবেচনায় রেখে তাদের অংশগ্রহণকে অর্থপূর্ণ করা সম্ভব হয়।

মানবিক ত্রাণকার্য পরিচালনায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সক্ষমতা চিহ্নিতকরণ এবং তথ্য ঘাটতি মোচণে এই সেমিনারে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত, আচরণগত ও কাঠামোগত অন্তরায়গুলো কাটিয়ে উঠতে একটি বিষদ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করার তাগিদ দিয়ে সেমিনারে উপস্থাপিত মূল নিবন্ধে এই মর্মে সুপারিশ করা হয় যে, মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর উচিত প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সহজ ব্যবহার উপযোগী আশ্রয় কেন্দ্রের স্থাপনা নির্মাণের নকশা প্রনয়ণে সার্বজনীন নকশা ও নির্মাণ নীতিমালা গ্রহণ করা। মূল নিবন্ধে মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রতি যোগাযোগ উপকরণ এবং সরঞ্জামাদির জন্য বিনিয়োগের তাগিদ দিয়ে বলা হয়, এই মৌলিক যোগাযোগ উপকরণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য করা এবং সেবাকর্মে তাদের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক জনাব মো: মিজানুর রহমান সকল স্টেকহোল্ডারদেরকে সরকার-নির্মিত বিপর্যয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে স্থাপনাগুলোকে প্রতিবন্ধী-জনগোষ্ঠীর আরো সহজলভ্য ও নাগালের মধ্যে আনার জন্য উপদেশ ও সুপারিশ কামনা করেন। সেমিনারে প্যানেল বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিডিডি’ এর নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান খান, জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর’ এর প্রোটেকশন অফিসার জোহানা রাইনা পিকালুয়া, অক্সফ্যাম-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ ডিমলে এবং নরওয়ে রিফিউজি কাউন্সিল এর কান্ট্রি ডিরেক্টের ওয়েনডি ম্যাক-ক্যান্সি। তাঁরা মূল-নিবন্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেমিনারের আয়োজক সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টান্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজেশ চন্দ্র এবং ব্যুরো অব পপুলেশন রিফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেশন এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ম্যাকেঞ্জি রোয়িও বক্তব্য রাখেন।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসআর

প্রতিবন্ধি,জাতিসংঘ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close