• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে, যোগ দিতে পারেন পুতিন

প্রকাশ:  ২৪ জুন ২০২৩, ২০:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে আগামী সেপ্টেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

শনিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) আবিষ্কৃত দেশের প্রথম স্মার্টফোনভিত্তিক ‘সূর্য বিদ্যুৎ’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, অবশেষে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।

‘সূর্য বিদ্যুৎ’ অ্যাপ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ৪০ শতাংশ নিশ্চিতে গবেষণায় গুরুত্ব দেবে সরকার। কপ ২৬’ জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দেন ২০৪১ সালের মধ্যেই ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে দেশের গ্রামীণ জনপদে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার চলছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রতারণাসহ ব্যাপক হয়রানির শিকার হয় ভোক্তারা। এ লক্ষ্যেই বিসিএসআইআর উদ্ভাবন করেছে সূর্য বিদ্যুৎ অ্যাপ। দেশীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেশে প্রথমবারের মতন এ ধরনের অ্যাপ তৈরি করা হলো।

এর আগে, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বিসিএসআইআর উদ্ভাবিত স্মার্টফোন অ্যাপ ‘সূর্য বিদ্যুৎ’ উদ্বোধন করেন ইয়াফেস ওসমান। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি থেকে পরমাণু বিদ্যুতের দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণকাজ প্রায় শেষদিকে। সময়মতোই বৃহৎ এই প্রকল্পটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানমন্ত্রী।

পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পাবনার রূপপুরের মাটিতে প্রায় এক দশক থেকে চলছে নির্মাণের মহাযজ্ঞ। এই মেগা স্থাপনার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষদিকে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটি বহুমাত্রিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে একদিকে দেশ যেমন বিজ্ঞানের উৎকর্ষে নতুন স্তরে উন্নীত হবে, তেমনি নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের অনন্য উৎস পাবে।

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরমাণুসমৃদ্ধ দেশগুলোর এলিট প্ল্যাটফর্ম বা নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রটির ভি-ভি-ই-আর টুয়েলভ হান্ড্রেড টাইপের দুটি রিয়্যাক্টর থেকে উৎপাদিত হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ। চালু হলে অন্তত ৮০ বছর ধরে টানা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব এই প্ল্যান্ট থেকে।

অতি-বৈজ্ঞানিক স্পর্শকাতর এই স্থাপনাটি নির্মাণে কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক ব্যয়ের বেশিরভাগই আসছে রাশিয়া থেকে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটমের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট এটির নির্মাণ প্রায় শেষদিকে নিয়ে এসেছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রূপপুরে চলতি বছরের অক্টোবরে নিউক্লিয়ার জ্বালানি বা ইউরেনিয়াম আসার কথা রয়েছে। এই জ্বালানি পণ্য সংরক্ষণে এরইমধ্যে সাপোর্ট স্ট্রাকচার ও ফ্রেশ ফুয়েল স্টোরেজ ও রয়ুয়েল স্টোরেজ এর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

পুতিন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close