ফখরুল: আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক
চলমান এক দফা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকার জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নাটক সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “হঠাৎ করে এগুলো বিস্ফোরক কোথা থেকে এলো? কারা আনলো? কীভাবে আনলো।”
রবিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের (কোকো) ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শুক্রবার রাত থেকে ঘিরে রাখা একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এদের মধ্যে তিনজন শিশু, ছয়জন পুরুষ ও চারজন নারী। জঙ্গি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে আড়াই কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, কমান্ডো বুটসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আলোচনা সভায় এই জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, “যখন আন্দোলন ঊর্ধ্বে থাকে, তখন জঙ্গি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকবার, প্রতিটি ক্ষেত্রে এটি হয়। এখন দেখবেন, জঙ্গির কথা বলে বলে মানুষকে ডাইভার্ট করবে। তাদের দৃষ্টি সরিয়ে নেবে। পশ্চিমা বিশ্বকে আবার জুজুর ভয় দেখাবে। বলবে- এই দেখো, বাংলাদেশে আমরা যদি না থাকি তাহলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এভাবে নাটক করতে করতে তারা (আওয়ামী লীগ) এই জায়গায় এসেছে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। মানে সবচেয়ে উঁচু সতর্কবার্তা। কিন্তু সরকারের কথা শুনে মনে হয় না এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ আছে। জেলখানায় আমরা যেভাবে সারি করে শুয়ে থাকি, তেমনি মুগদা হাসপাতালের মেঝেতে শিশুরা শুয়ে আছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এত উন্নয়ন, মেগা প্রজেক্ট, তারপরও কেনে বাচ্চারা সঠিক চিকিৎসা পাবে না? কারণ একটাই, শেখ হাসিনার সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।”