পর্নোগ্রাফি মামলায় ব্যবসায়ীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের ঘটনায় দায়েরকৃত পার্নোগ্রাফি মামলায় শাহিন চৌধুরী মিঠু (৪০) নামে টেইলার্স ব্যবসায়ীর ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
সম্পর্কিত খবর
দণ্ডপ্রাপ্ত মিঠু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সমসেরাবাদ এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় টেইলার্স (দর্জি) ব্যবসায়ী।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ভিকটিম গৃহবধূ (৩১) সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের জকসিন বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে তার বড় মেয়ে মিঠুর কাছে দর্জির কাজ শিখতেন। এতে মিঠুর তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। সেই সুযোগে গৃহবধূর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায়ই তারা সামাজিক যোযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলতেন। এক সময় মিঠু তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এরইমধ্যে ভিডিও কলে কথা বলার সময় তিনি গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
পরে গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে গোপন ছবি ও ভিডিওর কথা বলে মিঠু তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। কক্সবাজার যাওয়ার জন্যও প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছবি ও ভিডিওগুলো আত্মীয়-স্বজনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে ঘটনাটি গৃহবধূ তার স্বামীসহ স্বজনদের জানান।
সবার সম্মতিতে ঘটনাটি র্যাব-১১ টহল টিমকে জানালে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার হক মঞ্জিলের সামনে থেকে মিঠুকে আটক করে র্যাব। পরে র্যাব তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে। একইদিন গৃহবধূ বাদী হয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী আদালতে মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় প্রদান করেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি মিঠুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।