• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ভিয়েতনামের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ:  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ভিয়েতনামের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভিয়েতনাম ইউনিয়ন অব ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের (ভিইউএফও) প্রেসিডেন্ট নূয়্যেন ফুওং ন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে সমর্থন চেয়েছেন সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

সম্পর্কিত খবর

    শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নূয়্যেন ফুওং ন্যার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।

    উভয়ের মধ্যে উষ্ণ অভ্যর্থনা বিনিময় শেষে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেছেন, শুধু ভিয়েতনামের কূটনৈতিক জীবন না, বরং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ, জনগণকে একে অপরের সান্নিধ্যে আনা, বিশেষত যখন কূটনীতির ধারণা পরিবর্তিত হয়ে জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে, সে সময়ে ভিয়েতনাম ইউনিয়ন অব ফ্রেন্ডশিপ অর্গনাইজেনশনের (ভিইউ এফও) প্রেসিডেন্টের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

    রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার গভীর ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করে দেশটির উন্নয়নের প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রেসিডেন্ট হো চি মিন সব সময় দেশের জনগণের চিন্তা করেছেন এবং মুক্ত, স্বাধীন ও সুখী-সমৃদ্ধ দেশের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    জবাবে নূয়্যেন ফুওং ন্যা বলেন, বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যেকার ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি উদাহরণ। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সহযোগিতা এবং সম্পর্ক গভীর করার জন্য ভিয়েতনাম চেষ্টা করবে।

    উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, স্বল্প জনবল নিয়ে কূটনৈতিক কার্যক্রম কিভাবে চালানো যায়, তা রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের কাছে থেকে শেখার জন্য তিনি সব সময় ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপদেশ দেন। রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ যেভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্জনসমূহকে তুলে ধরেন, তার প্রশংসাযোগ্য।

    রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ভিয়েতনামে দায়িত্ব পালনকালে তিনি গভীরভাবে অনুধাবন করেন যে, ভিয়েতনামে কূটনীতিকরা কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেরও অংশীদার হয়ে যায়। বিশেষ করে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামের জনগণের কল্যাণে হাসাপাতালগুলোয় রক্তের অভাব বুঝতে পেরে মহামারী চলাকালীন তিনবার দূতাবাসের স্টাফদের সঙ্গে তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। ভিয়েতনামের বন্ধু এবং বাংলাদেশিসহ অন্যান্য ব্যক্তিদেরও রক্তদানের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। সেইসঙ্গে অসহায় লোকদের খাদ্যদ্রব্য দেন এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও হুইল চেয়ার দেন।

    রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামকে একত্রে কাজ করতে হবে। সব আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে চমৎকার সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান এবং সব সময় একে অপরের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে রেজুলেশন পাসের বিষয়ে ঐকমত্য প্রদানে ভিয়েতনামের সমর্থনের প্রশংসা করে। বাংলাদেশ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে ইচ্ছুক এবং এ বিষয়ে ভিয়েতনামের সমর্থনপ্রত্যাশী।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close