• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পল্লী সম্রাট আব্দুল আলীমের আজ মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ:  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কালজয়ী লোক গানের শিল্পী আব্দুল আলীম। লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান এই কিংবদন্তি শিল্পী। পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, মুর্শিদি গানের শিল্পী হিসেবে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পল্লী সম্রাট আব্দুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী।

সম্পর্কিত খবর

    কালজয়ী এই শিল্পী ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন। ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে এই শিল্পীর জন্ম। মাত্র তেরো বছর বয়সে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়। কিশোর বয়সে গান শুনিয়ে শেরে বাংলার মন কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। পেশাগত জীবনে আব্দুল আলীম ছিলেন ঢাকা সংগীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক।

    অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য হয়নি আব্দুল আলীমের। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন। আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। ১৯৪২ সাল। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়। শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় যান। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বড় ভাই শেখ হাবিব আলী আব্দুল আলীমকে সেই অনুষ্ঠানে নিয়ে যান।

    শিল্পী ধীর পায়ে মঞ্চে উঠে গান ধরেন— ‘সদা মন চাহে মদিনা যাব।’ মঞ্চে বসে আব্দুল আলীমের গান শুনে ‘শেরে বাংলা’ শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন। কিশোর আলীমকে বুকে জড়িয়ে নেন, উৎসাহ দেন, দোয়া করেন। ওই সময়ে বাজারে গিয়ে পাজামা-পাঞ্জাবি, জুতা, মোজা কিনে দেন। এই হচ্ছেন আব্দুল আলীম। তার গানে আপ্লুত হয়নি এমন লোক বিরল।

    তার কিছু অবিস্মরণীয় গান রয়েছে। যেমন— নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা, সর্বনাশা পদ্মা নদী, হলুদিয়া পাখী, মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম, এই যে দুনিয়া, দোল দোল দুলনি, দুয়ারে আইসাছে পালকি, কেন বা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ, মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায় ইত্যাদি।

    শিল্পী আব্দুল আলীম,কালজয়ী
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close