• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

পেছনে কারা, যোগসূত্র খুঁজছে গোয়েন্দারা

প্রকাশ:  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টম হাউসের গোডাউন থেকে ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিপাহিদের সঙ্গে আর কাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। ঊর্ধ্বতনও কোনও কর্মকর্তা জড়িত কি না, এসব বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।

চুরির মামলাটি বিমানবন্দর থানা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিবি।

ডিবি বলছে, এত বড় সংখ্যক স্বর্ণ একদিনে গোডাউন থেকে বের করা হয়নি, ধাপে ধাপে বের করা হয়েছে। এ ছাড়া এত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ভেদ করে ঊর্ধ্বতন কোন কোন কর্মকর্তার মদদে এসব স্বর্ণ সরানো হয়েছে, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এত বিপুল সংখ্যক স্বর্ণ কি প্রক্রিয়ায় গোডাউন থেকে বের করে বাইরে আনা হয়েছে এবং কোথায় বিক্রি করা হয়েছে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজধানীর তাঁতিবাজার ও বায়তুল মোকাররম বেচাকেনার একটি বড় জায়গা। এসব জায়গায় স্বর্ণ বিক্রি করা হয়েছে কি না, সেসব বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া স্বর্ণ বিক্রি করা হতে পারে, এসব সম্ভাব্য জায়গাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোডাউন থেকে স্বর্ণ বের করে যখন কাস্টমসের কর্মকর্তারা এ ঘটনা থেকে বাঁচতে পারবেন না বুঝতে পেরেছেন, ঠিক তখনই তারা স্বর্ণ চুরির নাটক সাজিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম ও সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার পরিকল্পনা করে ধাপে ধাপে গোডাউন থেকে স্বর্ণ সরিয়েছেন। তাদের সঙ্গে স্বর্ণ বেচাকেনার ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে, এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের অপকর্মের সঙ্গে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের আর কোন কোন স্তরের কর্মকর্তারা জড়িত, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। যদিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা অন্যদের যোগসূত্র ছাড়া স্বর্ণ সরানো সম্ভব নয়।

সোনা,কাস্টমস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close