নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিইসি
অপপ্রচার করলে মিডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিডিয়ায় অপ্রপচার হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার (১ অক্টোবর) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক কর্মশালয় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার হয়। যেটাকে মিস ইনফরমেশন বলে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বানিয়ে প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো কিন্তু আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবো। যাতে নির্বাচনে ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে। সব দেশের আইনেই আছে এটা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচনটা ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা যেকোনো খবর তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে। ফ্রি, ফেয়ার একটা কথা বলা হয়। বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, যে আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে তা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একই সঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতা আমরা দেখাইতে পারবো মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণ দলের মাধ্যমে।
জনগণের আস্থা অর্জন নিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নির্বাচন পরিচালনা হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ হতে হবে। তা না হলে দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তাবে। পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নেবেন এবং জনগণকেও উদ্ভুদ্ধ করবেন তারা যেন কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যায়।
নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্ট বের করা নিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনে বিভিন্ন সময়ে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। অনেকে আবার না দিয়েও অভিযোগ করেন। কাজেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি দল থেকে এজেন্ট দিয়েছেন কিনা। এজেন্ট শাক্তিশালী হলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম