‘প্রধান বিরোধীদল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না’
প্রধান বিরোধীদল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। বুধবার (৪ অক্টোবর) নগরীর নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত হন।
সম্পর্কিত খবর
৬৪ জেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাধ্যমের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি এই কর্মশালায় অংশ নেন।
কবিতা খানম বলেন, আমরা দেখছি বিরোধীদলও ইসিকে সহায়তা করছে না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে। নির্বাচনে শুধু কমিশন নয়, অনেকে রয়েছে। অথচ কোনো সমস্যা হলো নির্বাচন কমিশন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি গাফিলতি থাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা আছে- এটা নিয়ে আরগুমেন্ট আছে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে কমিটমেন্ট করতে হবে ভালো নির্বাচনের। পোলিং এজেন্ট দেওয়ার দায়িত্ব প্রার্থীর। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার তথ্য আমরা পাচ্ছি না। শুধু হাওয়ার ওপরে অভিযোগ দিলে হবে না। পোলিং এজেন্টদের নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীকে উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের তালিকা ইসিতে পাঠানো দরকার।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, দেশে প্রধান দু’টি দল দুই মেরুতে। এদের এক হতে হবে, ভোট সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন সুন্দর করার মূল লক্ষ্য নিবন্ধিত দলকে এক করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তভাবে কাজ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি বলেন, ভোট অবাধ করতে সবাইকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালো ভূমিকা নিতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়, যাতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালো ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম