কক্সবাজারে হামুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে তিনি শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, খুরুশকুল, সদর ও মহেশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে বেশি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য সরকার জনগণের পাশে রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে জেলায় এখনও অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকায় দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। খাবার ও পানীয়সহ নানা সংকটে রয়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৭০টি ইউনিয়ন, কক্সবাজার ও মহেশখালী পৌরসভার ৩৭ হাজার ৮৫৪ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১০৫টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়িঘর। এতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
হামুনের আঘাতে পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার। ৪৯৬ স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া এলাকা।