প্রশ্ন হারুনের
পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, যে পুলিশ জনগণের পুলিশ, যে পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত, তথাকথিত রাজনীতির নামে সে পুলিশ সদস্যকেও নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এসব ছবি সবার কাছেই আছে। এমনকি পুলিশ হাসপাতালে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আমরা কার কাছে বিচার চাইবো?
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
বিএনপির অভিযোগ, ‘পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা তো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছে, তারা অনেক কিছুই বলতে পারে, এটা ঠিক না।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ, কিন্তু আগে তো মানুষ। আমারও তো অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই?
ডিবিপ্রধান বলেন, ২০১৪ সালে ৩০ এর বেশি পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। একটি দল বা গোষ্ঠী যারা কাজটি করেছিলো, তারাই জাতিসংঘের সব আর্টিকেল লঙ্ঘন করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের আগেও নানা কার্যক্রম চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পরও তারা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়। এসব কার্যক্রমের জন্য তারা যুবদল-ছাত্রদলকে আট ভাগে ভাগ করে। তাদের নেতারা পুলিশকে পিটিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না, তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। শুধু হাসপাতালে হামলাই করেনি, অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম