• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মন্দা কাটিয়ে স্বরূপে কক্সবাজার, পর্যটকের ঢল

প্রকাশ:  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রাজনৈতিক সহিংসতাপূর্ণ অবস্থায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছিল দেশের পর্যটন খাত। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ “স্থিতিশীল” হওয়ায় ফের আগের অবস্থায় ফিরছে এই কাতটি। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে দুই দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়েছে ভিড়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শুক্রবার সরেজমিনে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শুধু সৈকতের লাবণি, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টেই রয়েছেন লক্ষাধিক পর্যটক। সমুদ্রসৈকতে ঘোরাঘুরি, সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। তবে বৃহস্পতিবার থেকে টানা দুই দিনের ছুটিতে চেনারূপে ফিরেছে সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।

বিচ বাংলা ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপক মো. আবদুল্লাহ ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, কক্সবাজার ও ইনানী সৈকতে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এভাবে আগামী দিনগুলো চলমান থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, “গত ২৮ অক্টোবর থেকে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। সময়টা খুবই মন্দা গেছে। কোনো পর্যটকই ছিল না। আজ (শুক্রবার) থেকে হঠাৎ পর্যটক বেড়ে গেল। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আরও পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করি।”

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিম খান বলেন, “প্রায় ৯০% হোটেল কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। বুকিং দেওয়া পর্যটকরা কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন। অনেকে এসে পড়েছেন। দেড় থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যেও হোটেল কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে।”

ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক চৌধুরী ইবনে ইউসুফ বলেন, “কয়েক দিন সময় নিয়ে আট বন্ধু মিলে কক্সবাজারে ঘুরতে এলাম। আগামীকাল সেন্টমার্টিন যাবো।”

যশোর থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শৈলী শবনম বলেন, “অনেকদিন থেকে পরিকল্পনা ছিল বিজয় দিবসটা কক্সবাজারে উদযাপন করব। বৃহস্পতিবার চলে এলাম। এখন সৈকতে পরিবারের সঙ্গে সময়টা বেশ ভালো কাটছে।”

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, “টানা দুই দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে অনেক পর্যটক এসেছেন। কক্সবাজারের হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। পৃথক তিনটি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। কোথাও অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে তথ্যকেন্দ্র রয়েছে। এসব তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রে কেউ অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

সৈকতে পর্যটকদের ঢল,অবরোধে,স্থিতিশীল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close