• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিজয় দিবসে বিনোদনকেন্দ্রে পর্যটকের ভিড়

প্রকাশ:  ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বিজয় দিবসসহ সাপ্তাহিক দুদিনের ছুটিতে এবার দেশের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ছিল পর্যটকের ভিড়। চলতি মৌসুমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হরতাল-অবরোধ থাকায় পর্যটনশিল্প খানিকটা স্থবির হয়ে পড়ে। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দীর্ঘদিন পর চাঙা হয়ে ওঠে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রগুলো। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

কক্সবাজার: ১৬ ডিসেম্বর বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক লাখ পর্যটকের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি। সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে উচ্ছ্বাস করছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। অনেকে সৈকত পাড়ের ছাতার নিচে বসে সাগরের বিশালতা উপভোগ করছেন। সমুদ্রসৈকতের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কোথাও কক্ষ খালি নেই। ১০ ডিসেম্বর থেকে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ। এতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

ঢাকার মিরপুর ৩ থেকে আসা স্কুলশিক্ষক শামসুল ইসলাম বলেন, এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। সমুদ্রের লোনা জলে গোসল করলাম। সকালের হিম শীতল দূষণমুক্ত হাওয়া উপভোগ করতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছি।

কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, আশা করছি কয়েকদিন ভালো ব্যবসা হবে। ক্ষতি কিছুটা পোষাতে পারব।

এদিকে অতিরিক্ত পর্যটক আসায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হোটেল কক্ষ, রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম ও গাড়ি ভাড়ায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পর্যটকদের।

খাগড়াছড়ি: বিজয় দিবসের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমনে মুখর ছিল আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি, ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য এ জেলা ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির কর্মসূচির কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। তবে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেলের সব কক্ষ পূর্ণ হয়ে গেছে।

পর্যটক হিমেল মাহবুব বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে এসেছি। ছুটিটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। সাজেকের বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা ঘুরে এখন এসেছি আলুটিলায়।

অতিথি বাড়ায় খুশি পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ির প্রধান বিনোদন স্পট আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা জানান, অনেক দিন পর আলুটিলায় পর্যটক সমাগম বেড়েছে। শনিবার পর্যটক সমাগম ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে টিকিট ছাড়াই পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে পারছেন।

বান্দরবান: দীর্ঘদিন পর বিজয় দিবসে আনন্দের ঢেউ লেগেছে বান্দরবানের পাহাড়ি পর্যটনেও। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সশস্ত্র সংঘাতসহ নানা কারণে বান্দরবানের পর্যটনশিল্প ধস কাটিয়ে ফের চাঙা হয়ে উঠেছে। শনিবার বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত ঝরনা, চিম্বুক পাহাড়, নীলগিরি, নীলদিগন্ত, তমাতুঙ্গী, ডিমপাহাড়, প্রান্তিক লেক, বৌদ্ধ টেম্পলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে পর্যটকদের।

পর্যটক সাব্বির, সাজ্জাদ ও নিশিতা বলেন, বহুদিন পর আবারও বান্দরবান ঘুরতে এলাম। প্রত্যাশা করি, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সংঘাত কাটিয়ে পাহাড় হয়ে উঠুক ভ্রমণপ্রেমীদের শান্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার উপযুক্ত জায়গা।

ট্যুরিস্ট পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল বলেন, দীর্ঘদিন পর সমিতির তিন শতাধিক ট্যুরিস্ট গাড়ির সবগুলোই শুক্র-শনি দুদিনই ভাড়া হয়েছে।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোর আশপাশে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।

পর্যটকের ঢল,বিজয় দিবস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close