ভোটের দিন গণকারফিউ পালনের আহ্বান গণঅধিকার পরিষদের
একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়, আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে গণমিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড় হয়ে প্রেসক্লাব ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, সমাবেশ শুরুর আগে রিক্সাওয়ালা মাইক নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রিক্সাসহ মাইক নিয়ে যায় পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ৭ তারিখ আমরা জনগণকে বলবো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণকারফিউ করুন, ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। হরতালেও আপনাদের নৈতিক সমর্থন চাই আমরা।
তিনি বলেন, ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লুটেরারা আগামী ৭ জানুয়ারি ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করেছে। দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ এ ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বর্জন করেছে। কোন বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, একতরফা বাকশালি নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৭০% মানুষ সঞ্চয় ভেঙে বাড়তি খরচ মেটাচ্ছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে আর সরকারি দলের লোকেরা উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। ১৫ বছরে দেশের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লাঙ্গল, নৌকা, ট্রাক, ঈগল সবই শেখ হাসিনা মার্কা।
সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, জনগণকে বলবো, আপনারা নিজ নিজ জায়গা থেকে ঘরে থাকুন। এই প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, কিন্তু সরকার একটা সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সরকার বলছে, অতীতের ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য। কিন্তু ১৪ ও ১৮ সালের ভুল তো তারা আবার করতে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণের বিচার অবশ্যই হবে। সরকার ২ কোটি ভাতা সুবিধাভোগীকে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্র নেওয়ার পায়তারা করছে। ডামি নির্বাচন, ডামি প্রার্থী, ডামি মিছিলের পর এবার ডামি ভোটার বাড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। ভোটকেন্দ্রে কৃত্রিম লাইন তৈরি করে ৭০% ভোট দেখাতে সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ভোটের হার ৫ ভাগও হবে না। জনগণকে বলবো ভয় পাবেন না, নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।