• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

দেশের প্রথম ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগ চালু গণস্বাস্থ্যে

প্রকাশ:  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ঢাকার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দেশের প্রথম ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগ চালু করা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসমাপ্ত স্বপ্নপূরণে এটির উদ্বোধন করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৬ নম্বর সড়কের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের ষষ্ঠ তলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র চ্যারিটেবল ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা।

বিশেষায়িত ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।

তিনি বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো এখানে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগ চালু হলো। পৃথিবীর এমন কোনো হাসপাতাল নেই, যেখানে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগ নেই। আর বাংলাদেশে এমন একটিও হাসপাতাল পাওয়া যাবে না। প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিছু কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের দিকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগে থেকেই এখানে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু আছে, যেখানে শিশু ও বড়দের কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। আমরা তিনটি ধাপে এই ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করতে চাই। তার একটি হচ্ছে এই বিভাগ। এখানে আমরা ব্যাপক আকারে সচেতনতা কার্যক্রম চালু করতে চাই। এই সপ্তাহ থেকে আশা করি আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কয়েক দিনের মধ্যে সেবার হার প্রকাশ করা হবে। সরকারিভাবে ওরাল ক্যান্সার, ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট ও ভায়া ফোর সারভিকাল ক্যান্সার পরীক্ষা ফ্রি করা হয়। সেটি এখানেও ফ্রি। মানে যারা বলবেন সামর্থ্য নেই তাদের জন্য। আর যারা মধ্যম আয়ের তাদের জন্য একটা ফি থাকবে, দিতে চাইলে দেবেন।”

তিনি আরও বলেন, “একটি মধ্যম মানের ক্লিনিকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সার্জারিতে যে খরচ লাগে তার অর্ধেক খরচে এখানে সার্জারি হবে। ২০২৪ সালের মধ্যেই মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে গণস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনে বহির্বিভাগ, স্ক্রিনিং এবং দূরদূরান্তের রোগীদের জন্য অল্প খরচে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থাসহ প্রাথমিকভাবে গণস্বাস্থ্য ক্যান্সার নিবাস চালু করবো। এছাড়া আমাদের অন্যান্য এলাকার হাসপাতালে আসা যাওয়ার জন্য নামমাত্র ভাড়ায় পরিবহনের ব্যবস্থা থাকবে।”

অনুষ্ঠানে প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “সাধারণ মানুষ ক্যান্সার চিকিৎসা করতে গিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করেও এর বিস্তার থামানো যাবে না। কোভিড-১৯ এর সময় প্রমাণিত হয়েছে, চিকিৎসাভিত্তিক সেবা দিয়ে মানুষকে সুস্থ রাখা যায় না। তাই প্রতিরোধ জরুরি।”

স্বাস্থ্য,চিকিৎসক,ক্যান্সার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close