• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নোয়াখালীতে চার গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

প্রকাশ:  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে নোয়াখালীর চারটি গ্রামের মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল দশটায় দুই উপজেলার ৮টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাতে অংশ নেয় এই চার গ্রামের মুসল্লিরা। ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে ঈদ মেলা বসেছে। এই ঈদ মেলায় আসতে পেরে খুশি শিশুসহ সকল বয়সের মানুষ।

জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর বসন্ত ভাগ উত্তর ফাজিলপুর গোপালপুর এবং সদরের সাহাপুর গ্রামে বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রঃ) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ এবং ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখে। এছাড়াও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রায় ২০০ বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে আসছেন।

গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর এবং হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ এবং ফাজিলপুর গ্রাম।

মসজিদ গুলো হলো- বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ এবং নোয়াখালী পৌরসভার হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্রগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করা হয়।

পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এই কারণে আমরা তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি। প্রায় ২০০ বছর বছরের বেশি হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লি উপস্থিতি বেশি হয়েছে।

নোয়াখালী,ঈদুল ফিতর,ঈদ উদযাপন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close