ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আশ্বাস ভারতের
২০২৩ সালে ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত। ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
সম্পর্কিত খবর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী এবং কাছের বন্ধুরাষ্ট্র। আজকের আলোচনায় নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। ভিসা সহজ করার বিষয়ে, ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, ট্যারিফ, কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমাদ বলেন, তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।
তিস্তায় ভারতের মতো চীনও অর্থায়ন করতে চাচ্ছে-এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে হাছান জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। যে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা কানেক্টিভিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা পিজিক্যাল কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ করে, নেপাল এবং ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ইতমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্যারিফ নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে। সেটি আমাদের পারচেস কমিটেতে যাবে। সেটি হলে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব ভারতের ওপর দিয়ে। অনেক অগ্রগতি আছে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরত্বআরোপ করেছি। তিনি (কোয়াত্রা) জানিয়েছেন, তাদের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তারা সেটি অনুসরণও করেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দু দেশের সরকারি এবং রাজনৈতিক পযায়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দিল্লি নাকি ভারত সফর প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর না প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে সেটা ঠিক হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফর নিয়ে কথা হচ্ছে। কোনটি আগে হতে পারে বেইজিং না দিল্লি? এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দিল্লি তো আমাদের চেয়ে কাছে। বেইজিং একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকে ভারত সফরের কথা রয়েছে। তাদের সেখানে যেহেতু নির্বাচন সেটা শেষ না হওয়া পযন্ত কখন সফর হবে সেটি নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করবেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনেক দেশের তুলনায় ভালো হয়েছে। নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোটারদের উপস্থিতি ছিল।