• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সংরক্ষিত আসনের ৪৯ প্রার্থীর মনোনয়নই বৈধ

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৫০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৪৯ জন। যাচাই-বাছাই শেষে সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম এ ঘোষণা দেন।

এ দিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে শুরু হয়ে বেলা প্রায় ১১টা পর্যন্ত চলে এই যাচাই-বাছাই। এ সময় প্রার্থী, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যাচাই-বাছাইয়ের সময় প্রার্থীদের স্বাক্ষর না দেয়াসহ ‘ছোটখাট’ ভুল-ত্রুটি আমলে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে। মহাজোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৯টি।

অন্যদিকে বিএনপি ৬টি ও গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মোট ৮টি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩ প্রার্থী।

দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা আইনে বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ৪৩টি আসন, ওয়াকার্স পার্টি ১টি, জাতীয় পার্টি ৪টি ও স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী জোট ১টি এবং বিএনপি জোট ১টি আসন পেয়েছে।

বৈধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- ঢাকার শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ির বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লার আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনার সুলতানা নাদিরা, জামালপুরের মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোণার হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুরের শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারীর রাবেয়া আলী, নংরসিদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহের খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালীর কানিজ সুলতানা, খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুরের জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুরের রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুরের পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ীর খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুরের তাহমীনা বেগম, পাবনার নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোরের রত্না আহমেদ।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টি মনোনীত অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার, ওয়ার্কার্স পাটির মনোনীত প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান ও স্বতন্ত্র সেলিনা ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ১টি আসন পেলেও শপথ না নেওয়ায় আপাতত সে পদটি খালি থাকছে।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন-২০১৯ এর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ১১ ফেব্রুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৪ মার্চ নির্বাচন ভবনে ভোটগ্রহণ হবে।


পিবিডি/এসএম

ইসি,সংরক্ষিত নারী আসন,জাতীয় সংসদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close