• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নুরের কাঁধে ইসরাইলি আজরাইল!

প্রকাশ:  ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:০০
মোস্তফা কামাল

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বা বিএনপির আসলামে নয়, বাংলাদেশে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বিস্তারের চেষ্টা অনেকদিনের। বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিশেষ কোনো সন্ধিক্ষণে দেশটিতে মাথা ঢোকানো এবং নানা ফাঁদ পাতা মোসাদের কৌশল। টার্গেট মতো এরা সওয়ার হয় লক্ষ্যব্যক্তির ঘাড়ে। আবার বাংলাদেশে কিছু ব্যক্তিও মোহাচ্ছন্ন হয়ে সেই অপেক্ষা করে। এরা অতি লোভে কেবল ঘাড়ে নয়, মাথায়ও তুলে নেয় স্পর্শকাতর বিদেশি এই ভয়ঙ্কর দানবীয় শক্তিকে।

নতুন বছরের শুরুতে ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নুরের দুবাইতে তোলা একান্ত ছবিটি। মেন্দি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিরও সদস্য। নুরের গণঅধকিার থেকে বলা হচ্ছিল, তিনি ওমরাহ পালন করতে সৌদি গেছেন। ওমরাহর নামে যে তিনি কাতার-দুবাইতে ঘুরেছেন তা জানা হয়েছে ছবিটি ভাইরালের সুবাদে। সেখানে আরো অনেকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তার। বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈঠকের তথ্যও এসেছে। এ সময়টায় সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে নানা ধরনের উসকানিমূলক কথার ঝড় তোলেন তিনি। এর মাঝেই ভার্চুয়ালে ভাইরাল হয় ছবিটি। এখন ছবিটিকে এডিট বলে দাবি করা ধোপে টিকছে না। এডিট করা ছবি ছেড়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টার দাবি করেছেন নুরল হক নুর। কিন্তু, দাবির সপক্ষে যুক্তি বড় দুর্বল-নড়বড়ে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন, কার কোন ঠেকা লেগেছে তাকে ফাঁসানোর?

নুর তো ফেঁসেই আছেন। তার একদিকে প্রধানমন্ত্রীর মাঝে মায়ের প্রতিচ্ছবি দেখে ক্ষমতাসীন মহল থেকে নানান সুবিধা হাতানোর গুঞ্জন আছে। আরেকদিকে বিএনপি-জামায়াত ঘেঁষে রাজনীতির দাবার গুটিতে তারকা বনেছেন। তার গতিবিধি, ক্রিয়াকর্মের খবর বিএনপির শীর্ষমহলও রাখে। রাষ্ট্র পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞ দলটিও তার বিচরণের তথ্য রাখতে হয়। বিএনপির কাছে সতর্ক আইটেম তিনি। গরীব ঘর থেকে উঠে আসা নুরের বাসার পর্দা কেনা থেকে শুরু করে তার লাঞ্চ-ডিনারসহ রাজকীয় জীবনের হাঁড়ির খবর উভয়েরই হাতে। তাকে ফাঁসাতে মোসাদ সদস্যের সঙ্গে ছবি তৈরি করতে হয় না। এর আগে, ২০১৬ সালে এই মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিএনপি নেতা আসলামের। ওই বৈঠকের ছবি প্রকাশ পেলে তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে বিএনপির ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করা হয়।

নুর বা আসলাম সাবজেক্ট অবজেক্ট কোনোটাই নয়। গুটি মাত্র। প্রশ্ন দেশ, দেশের নিরাপত্তার। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় নীতির। বাংলাদেশ বরাবরই ইসরাইলের ব্যাপারে সতর্ক-সাবধানি। আবার ইসরাইলও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পাততে যারপরনাই তৎপর। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়, ইসরাইল তাদের অন্যতম। আরব দেশগুলো স্বীকৃতি দেয়ার আগেই ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ সরকার তা বুঝেশুনেই প্রত্যাখ্যান করে। রাষ্ট্রীয় ওই নীতিতে বাংলাদেশের সব সরকারই অটুট-অটল। ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সব সময়ই ফিলিস্তিনের পক্ষে। কয়েকদিন আগেও জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি গোয়েন্দার সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ? সামনে নাকি তাকে নেতানিয়াহুর সঙ্গেও মিটিং ফিক্স করে দেয়া হবে! এ অভিযাত্রায় নুর একাই? আশপাশে কেউ নেই তো?

রাষ্ট্রীয় সাবধানতায় ২০২১ এর মে মাসে ’আন্তর্জাতিক মান রক্ষার্থে’ বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ’ইসরাইল ব্যতীত’ শব্দগুচ্ছ অপসারণ করলেও এমআরপিতে (মেশিন পাঠযোগ্য পাসপোর্ট) আগের মতোই শব্দবন্ধটি বহাল রেখেছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ইসরাইল ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়নি। তা কি অকারণে-অবুঝে? বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় লেখক, খ্রিস্টান ধর্মযাজক, হিন্দু পুরোহিতদের কুপিয়ে হত্যা কিংবা শিয়াদের ওপর হামলার মতো ঘটনায় সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দৃঢ় কণ্ঠে বলা হয়েছে, এসব হামলা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। কিন্তু, নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর মাঝেই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি পাঠানোর ঘটনায় অনেকের চোখ কপালে উঠে যায়।

মোসাদ সদস্য মেনদি এন সাফাদির মারফতে চিঠিটি দেয়া হয়েছিল ‘হিন্দু স্ট্রাগল কমিটি’ নামের সংগঠনের বরাতে। দ্য হিন্দু স্ট্রাগল কমিটি পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ- ইসরাইল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলে হিন্দু সম্প্রদায় লাভবান হবে। বাংলাদেশের সব সরকারই মুসলিমদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইসরাইল রাষ্ট্রের সঙ্গে অবিচার করে আসছে এমন কথা পর্যন্ত লেখা ছিল ওই চিঠিতে। নুরের আশপাশে আর কেউ আছে কিনা, প্রশ্নটির অবতারনার আরো কারণ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, ভারতের র, পাকিস্তানের আইএসআই, রাশিয়ার কেজিবি (পরিবর্তিত হয়ে এফএসবি)’র সম্পর্কে মোটামোটি জানলেও ইসরাইলের মোসাদ সম্পর্কে ধারনা নেই অনেকের। পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোসাদের অগনিত ভলেন্টিয়ার। তাদের কাজের স্টাইল ভিন্ন। এরা গোয়েন্দাদের ওপরও গোয়েন্দাগিরি করে। গোপনীয়তা, দুর্ধর্ষ গোয়েন্দাবৃত্তির চর্চায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিআইএ, র, আইএসআইকে ছাড়িয়ে গেছে মোসাদ। কোথাও কোথাও মোসাদ এখন ওইসব সংস্থাকে টেক্কা দিচ্ছে। ঘোরে ফেলে ব্যবহার পর্যন্ত করে ছাড়ছে।

বাংলাদেশ এড়িয়ে থাকলেও ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ১৯৫০ থেকে। নেহেরু সরকার বোম্বেতে ইজরাইলকে ভারতীয় ইহুদিদের সদিচ্ছায় ইসরায়েলে স্থানান্তরিত হতে সম্মতি দিয়ে অফিস খোলার অনুমোদিত দিয়েছিল। ক্রমেই ওই অফিসটি কনস্যুলেটে পরিণত হয়। পরে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। ইন্দিরা গান্ধির সময় থেকে ১৯৯২ সালে ইজরাইলের সঙ্গে ভারতের পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। বিজেপি সরকার আসার পর ভারত হয়েছে ইসরাইলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় বাজার। নেপাল- শ্রীলঙ্কায়ও তাদের দফতর রয়েছে। প্রতিবেশি ও নিকবর্তী হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এটি অগ্নিময়। এতে নুর-আসলাম বা যে কারো ঘি ঢালা ছেলেখেলা নয়, আগুন খেলা। তা কেবল কোনো দল, সরকার বা গোষ্ঠীর জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যই। আর এমন পরিস্থিতিতেই নুরু বা বাংলাদেশের যে কারো ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদে সঙ্গে সম্পর্ক গা শিউরে ওঠা বার্তা।

একজন নুরের কেন মোসাদের ছায়া নেয়া জরুরি হলো কেবল ভাবনা নয়, বিশ্লেষেনেরও বিষয়। তিনি মোসাদের ঘাড়ে উঠছেন না মোসাদ তার ঘাড়ে উঠেছে তাও প্রশ্ন। মোসাদ পরিচালনা হয় সরাসরি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। বাংলাদেশের কোনো নুরের এই নুরানি কানেকশন বড় উদ্বেগের। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে অবিরাম ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়ছে না ইসরাইল। তা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ইসরাইল ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও। নানা ইস্যু ও ছুতায় কর্মতৎপরতা চালায় বাংলাদেশে। কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চিরকালের শরণার্থী করে এখানে ইসরাইলি ধাঁচের রাষ্ট্রচিন্তাও বাদ দেয়নি মোসাদ। রোহিঙ্গায় ওপর ভর করে বাংলাদেশে ইজরাইলের থাবা বসানোর আন্তর্জাতিক আয়োজনটি দ্রুত সময়ে ধরা পড়ে সরকারের ইন্টিলেজিন্সিতে। জাতিসংঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক মহলে অবহিত করা হয়েছে শক্তভাবে। বিদেশে বা যে কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠক- সম্মেলনে সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কথা বলে আসছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের উস্কানি এবং দেশিয় কিছু মহলের তৎপরতার মাঝেও শান্ত থাকছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে নগদে লাভ লুটে নেয়ার দেশি-বিদেশি তৎপরতা হজম করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কয়েকটি এনজিওর সঙ্গে দেশিয় চক্র ফিলিস্তিনের বিস্তির্ন ভূখণ্ডে সর্বহারা ইহুদিদের আশ্রয় দেয়ার প্রেক্ষাপটের পাঠ নেয়া এ মহলটির দিকে টার্গেট মোসাদের। ধর্মীয় স্বজাতির সুযোগে ১৯৭৮ থেকে বিরতিহীনভাবে রোহিঙ্গারা ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। কক্সবাজারসহ আশপাশ এলাকায় বাঙালি আর রোহিঙ্গা একাকার হয়ে গেছে। তাদের তফাৎ করা কঠিন। রোহিঙ্গা শরনার্থিদের সেখানে একেবারে সংখ্যালঘু বলার অবস্থা নেই। দশ লাখ বলা হলেও এ সংখ্যা বাস্তবে আরো বেশি। কক্সবাজার ছাড়িয়ে তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়ও ঠাঁই নিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য জায়গায়ও। এমনকি জাল কাগজপত্রের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে। বাংলাদেশি পরিচয়ে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছে লক্ষাধিক।

প্রতিবেশি একটি দেশে বসে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বাংলাদেশ নিয়ে ফ্লাইং গেমও চলছে। তা ওপেন সিক্রেট। ভূ-রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মাঝেই নুরের মোসাদ কানেকশনের ছবিসহ খবর। মোসাদের মিডিয়টরের সঙ্গে ফোনে কথা বলার অডিও ফাঁসও হয়েছে। তারওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গোপনে কিছু বাংলাদেশির ইসরাইল সফরের কথা শোনা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র তারকা, ব্লগারসহ নানা পেশার মানুষ। তবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও তাদের ভ্রমণের কোনো তথ্য পাসপোর্টে উল্লেখ নেই।

বাংলাদেশ থেকে ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা রুট হিসেবে তৃতীয় দেশ ব্যবহার করেছেন। পরিচয় গোপন রেখে ইসরাইল ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন কেউ কেউ। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সর্বপ্রথম ইসরাইল ভ্রমণ করেছেন ডা. শাদমান জামান। ২০১৬ সালে তিনি লন্ডন থেকে ইসরাইলে যান। পরবর্তীতে একাধিকবার ইসরাইলে গেছেন। তার ভ্রমণ নিয়ে খবরও প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট। ইসরাইল সফরের পর শাদমান নিজেকে ইহুদি ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনে সাদমানদের তৎপরতা বন্ধ হয়নি। ডা. শাদমানের পর ইসরাইল ভ্রমণ করেছেন এক বাংলাদেশি ব্লগার। তিনিও ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে হংকং হয়ে ইসরাইলে যান। ওই ব্লগার তার ভ্রমণ কাহিনী ব্লগে লিখেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ইসরাইল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’ নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত ইসরাইলের খবরাখবর প্রকাশ করা হচ্ছে। পেইজটি থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও উৎসবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া পেইজটি থেকে ইসরাইলের নানা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সফলতার খবর প্রচার করা হয়। বাংলাদেশ ইসরাইলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কীভাবে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে পারে সে বিষয়েও পেইজটি থেকে প্রচারণা চলে। ইসরাইলে দৈনিক ভিত্তিতে ভালো বেতনে কনষ্ট্রাকশন, মাটি-কাটা, কৃষিকাজ, পশুপালন ও ইকুইপমেন্ট চালনার লোক দরকার যুক্তিতে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এদেরই আয়োজনে। ২০২৫ সালের মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনের স্বপ্ন এই চক্রের। এমন এক সন্ধিক্ষণেই বাংলার আকাশে ইসরাইলি আজরাইলের চক্কর।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন।

সূত্র: সময়ের আলো।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

মোস্তফা কামাল,বাংলাভিশন,বার্তা সম্পাদক,কলামিস্ট,সাংবাদিক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close